Posts Tagged ‘সুশীল’


লিখেছেন: বন্ধু বাংলা

ভূমিকা

yunus-2সাভারে শ্রমিক গণহত্যায় সুদূর ভ্যাটিকান সিটির পোপ থেকে শুরু করে দেশের সরকার, সুদখোর ইউনুস, মালিক শ্রেণী সবাই যেন নড়েচড়ে বসেছে, মন্তব্যের ফুলঝুরি নিয়ে হাজির হচ্ছে। অন্যদিকে সাভারের ভবন ধ্বসের শোকাবহ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত ১৩২০১৩ তারিখে মন্ত্রীসভার বৈঠকে “বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধন), ২০১৩” এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে যা আসলে শ্রম বান্ধব কোন নীতি নয় বরং চূড়ান্ত বিচারে শ্রমিক বিরোধী।এছাড়া ১২২০১৩ তারিখে সরকার একটি ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গঠন করে। যেহেতু উৎপাদনের সাথে আমাদের সবার সরাসরি সংশ্লিষ্টতা নাই, তাই আপাত দৃষ্টিতে এসমস্ত পদক্ষেপকে আমরা ইতিবাচক ধরে নেই এবং রাষ্ট্রকে গনরাষ্ট্রের আয়নায় দেখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ি। (বিস্তারিত…)


লিখেছেন: বন্ধু বাংলা

shahbagh-1গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে অনেক কথা, অনেক বিশ্লেষণ করেছি সাথে এও বলেছিলাম মঞ্চের আন্দোলনের সারসংকলন টানার সময় এখনো আসেনি। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, সেই সময় চলে আসছে এবং সারসংকলন টানার সময়টি আরও বেশী ঘনীভূত রূপ পাচ্ছে এবং আরো পাবে; বিশেষ করে নির্বাচনপূর্ব ও নির্বাচনোত্তর রাজনৈতিক পরিবেশে। না মঞ্চের বিষয়ে আগাম কিছু বা পুরনো বিশ্লেষণ তুলে ধরে কিছু বলব না। কিন্তু আজ গণজাগরণ মঞ্চ, প্রজন্ম ও সুশীল সমাজের কাছে একটি প্রশ্নই করব এবং এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। (বিস্তারিত…)


লিখেছেন: বন্ধু বাংলা

yunus-2সাভারে শ্রমিক গণহত্যায় সুদূর ভ্যাটিকান সিটির পোপ থেকে শুরু করে দেশের সরকার, সুদখোর ইউনুস, মালিক শ্রেণী সবাই যেন নড়েচড়ে বসেছে, মন্তব্যের ফুলঝুরি নিয়ে হাজির হচ্ছেন। গত কয়েক দিনে গন মাধ্যমে প্রকাশিত সুদী কারবারি ইউনুসের সাম্প্রতিক একটি লেখা ও রাষ্ট্রের নতুন শ্রম আইন ও মুজুরি বোর্ড গঠনের বেশ কয়েকটি সংবাদ বিশ্লেষণ করতে গিয়েই এ লেখার অবতারণা। (বিস্তারিত…)

বিবিধ প্যাঁচাল :: মুড়ির ঠোঙা অথবা দ্রোহের মন্ত্রণা

Posted: ডিসেম্বর 3, 2012 in দেশ, প্রকৃতি-পরিবেশ, মন্তব্য প্রতিবেদন, সাহিত্য-সংস্কৃতি
ট্যাগসমূহ:, , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , ,

লিখেছেন: পাইচিংমং মারমা

(সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃএই লেখাটা খুবই বোরিং এবং লম্বা একটা লেখা। লেখাটা সুশীল, আঁতেল, সমালোচক এবং কচুক্ষেতের বুদ্ধিজীবীদের জন্য নয়। লেখাটা আপনার নিরুদ্বিগ্ন সুশীল বোধের জন্য এলার্জিজনক। গোটা লেখাটা বেশ লম্বাতবে যারা সত্যের মুখোমুখি হতে চান তারা বিষয়বস্তু ধরে ধরে পড়তে পারেন। নীচে ক্রমিক নং এবং বিষয় অনুযায়ী লেখাটা সাজানো আছে। যেকোন বিষয় ধরে আপনি আগাতে পারেন।)

.

১। সানি লেওনের তপ্ত কড়াই এবং ভাজা পোড়া তারুণ্য

Consumerism-1Sunny Leoneকে চিনতাম না। চেনার কথাও না। অনেকদিন ধরে ফেবু খুললে সাইডবারে স্বল্পবসনা এই রুপসীকে দেখি। গতকাল দেখলাম আমার ফ্রেন্ডলিস্টের ১৪ জন তাকে পছন্দ (Like) করে। তার মধ্যে কলেজ পড়ুয়া আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম, ২য় বর্ষের ছাত্রীও আছে। তারা কেন পছন্দ করে জানতে আমি এই রুপসির বিষয়ে তালাশ করলাম। Wikipedia-তেও ঢুঁ মারলাম। দেখে তো আমি থ!

যার এতো জনপ্রিয়তা সে আসলে একজন Porn Star,ভদ্রভাষায় সেলিব্রেটি, প্রচলিত ভাষায় সে একজন “বেশ্যা, রেন্ডিমাগী””। Wikipediaথেকে তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখি সেটা একটা পর্নো সাইট, যেখানে তার পর্নো ভিডিও আপলোড করা আছে। (বিস্তারিত…)


লিখেছেন: আহমদ জসিম

বাঁশ এক প্রকারের বৃক্ষ বিশেষ, হাজার বছর ধরে এই বৃক্ষরে নানাবিধ ব্যবহার মানবকূলে বিদ্যমান। এই বাঁশ বৃক্ষ নিয়ে বাঙলা ভাষায় আছে নানা প্রকারের প্রবাদপ্রবচন। এমনই এক প্রবাদ হচ্ছে ‘বাঁশ দেওয়া’। যার সোজাসাপ্টা বাংলায় অর্থ দাঁড়ায় ‘নিদারুণ আনিষ্ট করা’। সোহেল তাজ, যিনি তাজউদ্দিনের পুত্র। আওয়ামলীগের টিকেটে গাজিপুর থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য, এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রি হিসেবে দায়িত্ব পালনের ছয় মাসের মাথায় মন্ত্রীপদ থেকে পদত্যাগ করে পুরো জাতিকে এক বিস্ময় উপহার দিয়েছেন।

এই পোড়া দেশ, এই পোড়া জাতি। যে দেশের বেহায়া নির্লজ্জ শাসক শ্রেণীর নেতারা দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হলেও বত্রিশপাটি দাঁত বের করে হাসতে হাসতে জেলে যায়। জেল থেকে বেরিয়ে দিব্যি ভুলে যায় তাদের অতীতের কথা, যে দেশের প্রধানমন্ত্রী কালো টাকা সাদা করে বলে, ‘কই আমিতো করি নাই!’ যে দেশে নেতারা ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরে পৈত্রিক সম্পদের মতো করে সেই দেশের একজন মন্ত্রীর পদত্যাগ সত্যিই বিরল ঘটনা বটে। সর্বশেষ তিনি পদত্যাগ করলেন তার সংসদ পদ থেকেও। পদত্যাগের ব্যাপারে তার নির্বাচনী এলাকার জনগণকে দিয়ে গেলেন একটা খোলা চিঠি। ধোঁয়াশাময় এই চিঠিতে পদত্যাগের সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ না করে বলেছে, দলদেশজাতির স্বার্থে সবকথা বলা যাবে না। (বিস্তারিত…)


লিখেছেন: প্রীতম অংকুশ

কলমের কালি শেষ।

মনের কালিমা দিয়ে কালি তৈরী করবো।

অনেকদিনের জমে যাওয়া ঝুল দিয়ে বেশ জুতসই কালি হবে।

যদি তাতে খানিকটা প্রায়শ্চিত্ত হয় …….!

বেশি কিছু না, শুধু একটু শব্দজট খোলার জন্য,

মানসিক স্বস্তিতে ভেলা ভাসিয়ে স্বপ্ন ছোঁব বলে।

সাহিত্যশিল্প আর শব্দের মায়াজালে আচ্ছন্ন থেকেছি বহুদিন।

পরিপাটি চুলে তেলের যত্ন আর চিরুনির সদ্ব্যবহারে লিপ্ত থেকেছি নিয়ত।

আজ সময় হলো বলে …..

এক টুকরো হাড় নিয়ে হুটোপুটিতে রত শিশুদের আধোবোলে গাল দেয়ার

আর আমার প্রায়শ্চিত্তের! (বিস্তারিত…)


লিখেছেন: আলবিরুনী প্রমিথ

আমি দুঃখিত নই, স্বাধীনতা দিবসের

শুভেচ্ছা আপনাদের জানাবোনা বলে,

আমি দেখি আমার ঘরের জানালার পাশে

এক চিলতে জায়গা নেই, আকাশ নেই।

আমি আকাশ দেখতে চেয়েছিলাম, পারিনি

ডেভেলপড সোসাইটিতে আকাশ থাকেনা

থাকে সুউচ্চ বিল্ডিং, আকাশ তাই নেই।

আমি ব্যাথিত নই, স্বাধীনতার শুভেচ্ছা

আপনাদের জানাতে আগ্রহী না বলে,

এই রাষ্ট্র কেবল মুসলমানদের বলে স্বীকৃত

সংবিধান আর কারো জন্য কিছু রাখেনি।

এই কবিতাটি যখন পড়ছেন জানবেন,

হিন্দু বলে বিসিএসে কেউ আটকে যাচ্ছে

আদিবাসী কিশোরী ধর্ষিত হচ্ছে, দিনের আলোতে। (বিস্তারিত…)


লিখেছেন: অরবিন্দ অনন্য

আমি ঘুমোতে পারি না!

আমাকে যেন সারা রাত জেগে থাকতে হবে!

আমার বড় কষ্ট হয়।

আমি ঘুমোতে পারিনা, স্বপ্ন দেখতে পারি না!

স্বপ্ন ভঙ্গের ভয়ে আমি জেগে উঠি

আমার শরীর ঘেমে যায়

এই সমাজ আমাকে কলুষিত করে

ভদ্রতার মুখোশ পড়তে বলে!

হতে বলে চরম মানবতাবাদী!

আমি যেন মানবতার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিব!

অথচ আমি সুযোগের অপেক্ষায় থাকি।

এই সমাজ আমাকে টেনে নেয় দস্যুদের দলে

যেখানে আমি লুট করি অসহয় মানুষের সম্বল

আমি লুট করি সম্ভ্রম, লুট করি ওদের অস্তিত্ব! (বিস্তারিত…)


লিখেছেন: আলবিরুনী প্রমিথ

Death is a fearful thing .” – William Shakespeare

এই বঙ্গীয় জনপদে জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি ‘বচনের’ সাথে আমাদের নিরন্তর বসবাস সহবাস চলে। নাক টিপলে দুধ বের হয় এমন বয়স থেকেই সন্তানকে ‘বাজারজাত পণ্য’ বানানোর জীবনমরণ সংগ্রামে বাবামা তাকে ‘লেখাপড়া করে যে গাড়ীঘোড়া চড়ে সে’ ধরনের বচন শোনান। সেই যে বচনের সাথে তার পরিচয় ঘটে, মৃত্যু অবধি আর বুঝি তার সাথে আড়ি নেই। কিসে বচন নেই? বাবামায়ের অমোঘ বাণী, হাদিসকোরআন, বাইবেলগীতা নামক ‘সাইলেন্সার বুক’, অফিসের ঘোড়েল বসের আদেশ, সংবিধান সর্বত্রই বচনের জয়জয়কার। তার মাঝে বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গদের মুখ নিঃসৃত বাণী হলে তো কথাই নেই, সেসব জীবনভর গেলাতেই থাকো তো গেলাতেই থাকো। কিন্তু উপরের কোটেশনের দিকে আরেকবার তাকিয়ে দেখুন আর বর্তমানের বাংলাদেশকে তার সাথে মিলিয়ে দেখুন, শেক্সপিয়র সাহেবকে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে ‘অকাট মূর্খ’ মনে হবেনা? নিশ্চয়ই হবে, ভদ্রলোক কি গাড়লের মত বলেছিলেন যে মৃত্যু নাকি ‘ভীতিকর জিনিস’। বাংলাদেশের কোথায় তাকালে আপনার মনে হবে যে মৃত্যু কোন ভীতিকর জিনিস? নিশ্চয়ই তা নয়, এ হতেই পারেনা, মৃত্যুর ভীতিকর রূপের অবসান হয়েছে অনেক আগেই। এখন মৃত্যু একটি অত্যন্ত লাভজনক পণ্য, একে বাজারজাত করে প্রতিদিন পত্রপত্রিকা, বড় কর্পোরেট হাউজ, ব্যক্তিবর্গ করে খাচ্ছে তার কোন হিসেব রাখি আমরা? এক রবীন্দ্রনাথ, নজরুল বাবুরাই তো এখনো মুক্তি পেলেন না, বছরের পর বছর তাদের নিয়ে ‘ফ্যাসিস্ট নির্যাতন’ সমতূল্য বক্তৃতাআলোচনা সভা ইত্যাদি আয়োজন করে কত মানুষের কর্মসংস্থান হয়ে গেলো, তার কোন খোঁজখবর আমরা নিয়েছি কখনো? (বিস্তারিত…)


লিখেছেন: আহমদ জসিম

()

বুর্জোয়া রাষ্ট্র ব্যবস্থা আজ ভয়ানক সংকটের মুখোমুখি। বিষয়টার গভীরে না গিয়ে ভাসাভাসাভাবে দেখলে মনে হতে পারে শাসকের অদক্ষতার ফলেই বুঝি আজকের এই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববাসীর কাছে দৃশ্যমান সংকটএর অনিবার্যতা সম্পর্কে বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা প্রায় দেড় শত বছর পূর্বেই কার্ল মার্কস দিয়ে গেছেন। মার্কস তাঁর পুঁজি (Das Capital) গ্রন্থে মুনাফাকে তুলনা করেছেন পাগলা ঘোড়ার সঙ্গে, যে পাগলা ঘোড়া পুঁজি মালিকের নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও ছুটে চলে অদম্য গতিতে। মার্কসের অমোঘ বাণীকে সত্য প্রমাণ করে আজ যেন পুঁজির সেই মৃত্যু ঘন্টার ধ্বনিই দিকে দিকে বেজে উঠছে। আজ খোদ পুঁজিবাদের মোড়ল মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বুকেই জেগে উঠছে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গণজাগরণ! এখন বিজ্ঞ জনেরা প্রশ্ন তুলতে পারেন, এই ‘অক্যুপাই ওয়াল স্ট্রিট মুভমেন্ট’ নামের সংগ্রাম বিশ্ব রাজনীতির কোন গুণগত পরিবর্তন আনবে কী না? সেই ক্ষেত্রে আমি বলবোনা। কারণ একটি বিপ্লবী সংগ্রাম অবশ্যই একটি সঠিক বিপ্লবী পাটির অধীনেই হতে হবে। তবে হ্যাঁ, এই সংগ্রাম আমাদের এক পরম সত্যের প্রমাণ আবারো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। বুর্জোয়া মিড়িয়া আমাদের সামনে পুঁজিবাদি দুনিয়ার যে চাকচিক্যপূর্ণ জীবনের ছবি দেখায় এটা আসলে একদম ফাঁপা, অন্তরসারশৃন্য। আজ প্রায় একশত বছর ধরে যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ সারা বিশ্বব্যাপী দস্যুবৃত্তি করে বেড়াচ্ছে, অন্য দেশের সম্পদ দখল করতে গিয়ে হত্যা করছে কোটি কোটি মানুষকে। অথচ তারাই নিজের দেশের জনগণের ন্যুনতম জীবন ধারণের নিশ্চয়তা বিধান করতে পারেনি। আজ খোদ মার্কিন দেশেই বেকার মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লক্ষ। এমন বেকার আর হতাশাগ্রস্ত মানুষের সামান্য বিষ্ফোরিত রূপ দেখলাম ‘অক্যুপাই ওয়াল স্ট্রিট মুভমেন্টে’। এই বাস্তবতার উপর দাঁড়িয়ে পুঁজির দাসত্ব বরণকারী করপোরেটদের পোষা সুশীল বুদ্ধিজীবীরা আদাজল খেয়ে নেমেছে পুঁজির মরণ ব্যাধি ঘাতে মলমের প্রলেপ দিয়ে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার আয়ুষ্কালটা আরো খানিক দীর্ঘ করার প্রয়াসে। এমনই এক প্রয়াস আমরা লক্ষ করলাম কর্পোরেট মিড়িয়া ‘প্রথম আলো’র ত্রৈমাসিক প্রকাশনা ‘প্রতিচিন্তা’র সম্পাদকীয়তেও। মানুষ তাঁর কাণ্ডজ্ঞান দিয়েই বুঝে যুক্তি হচ্ছে সত্যের কিতাবি রূপ। ব্যক্তির সামনে যখন সত্য থাকে না, তখনই শুরু হয় মন্তব্য দিয়ে সত্যকে অস্বীকার করার প্রবণতা। প্রতিচিন্তার সম্পাদকীয়তে ঠিক এই কাজটাই করা হলো, কোন রকম যুক্তির ধারে কাছে না গিয়ে মন্তব্য করা হলো: ‘সাধের সমাজতন্ত্র প্রত্যাখ্যাত হয়ে গেছে।’ সমাজতন্ত্র যেন কোন গণভোটের রায়, যেটা হ্যাঁনা ভোট দিয়েই নির্ধারিত হবে। সমাজতন্ত্র হচ্ছে সমাজ বিকাশের একটা স্তর, পূর্বের সামন্তবাদ যদি সত্য হয়, আজকের পুঁজিবাদ যদি সত্য হয় তারই ধারাবাহিকতায় সমাজতন্ত্রও সত্য। প্রতিচিন্তার প্রকাশ ও ভূমিকার মধ্যদিয়ে কর্পোরেট প্রথম আলো গোষ্ঠী তার পুঁজিবাদীসাম্রাজ্যবাদী স্বার্থের জায়গাটা পাঠকের কাছে পরিষ্কার করলো। একই সাথে পরিষ্কার করা উচিৎ ছিল তার বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত তথাকথিত নিরপেক্ষতার অর্থ কী? তো, প্রতিচিন্তার ভূমিকায় সমাজতন্ত্র ব্যর্থ হবার কারণ হিসেবে যে বিষয়গুলোকে পাঠকের সামনে হাজির করা হয়েছে সেই কারণগুলোর মুদ্দাকথা এই রকম: “) বাজার ব্যবস্থা চালু রাখার স্বাভাবিক বাস্তবতাকে অস্বীকার করা; ) প্রতিযোগিতামূলক গণতান্ত্রিক রাজনীতির স্বীকৃতি না দেওয়া; ) সংবাদপত্রমিড়িয়ার স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি না দেওয়া; ) পার্টি ব্যবস্থার বাইরে থেকে যাওয়া ‘অপর’এর ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘন।” (বিস্তারিত…)