Archive for the ‘মতাদর্শ’ Category


লিখেছেন: রেজাউল কবির

প্রগতিশীল ও বামপন্থী মহলে পরিচিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ও সমাজতন্ত্রের বলিষ্ঠ সমর্থক প্রগতিশীল পত্রিকা ‘সংস্কৃতি’র ৫০ বছরে পদার্পণ এপ্রিল/২০২৩ সংখ্যায় পত্রিকাটির ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মুঈনুদ্দিন আহমেদের ‘বাংলাদেশের সমাজ পরিবর্তন ও মার্কসবাদলেনিনবাদের প্রাসঙ্গিকতা’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। ওই লেখায় বাংলাদেশের সমাজ পরিবর্তনের বিপ্লবী রাজনীতির রণনীতিরণকৌশল সম্পর্কে বেশকিছু বিতর্কিত বিষয় উত্থাপন করা হয়েছে। এই বিতর্ক এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে বর্তমান লেখাটির অবতারণা।

প্রসঙ্গত, ‘সংস্কৃতি’ পত্রিকা তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য হিসেবে উল্লেখ করেছে– মতবাদিক বিতর্ক ও চলমান রাজনৈতিকসাংস্কৃতিক আন্দোলন সম্পর্কে বিশ্লেষণ উত্থাপন করা। স্বাভাবিকভাবেই ‘বাংলাদেশের সমাজ পরিবর্তন ও মার্কসবাদলেনিনবাদের প্রাসঙ্গিকতা’ নিবন্ধটির পাঠপ্রতিক্রিয়া ‘সংস্কৃতি’ পত্রিকায় প্রকাশের জন্য পাঠানো হয়। এটি গত বছরের জুন মাসের কথা। ছয় মাসেরও বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও পত্রিকাটি থেকে ওই পাঠপ্রতিক্রিয়া প্রকাশের ক্ষেত্রে ইতিবাচক বা নেতিবাচক অবস্থান জানানো হয়নি। একটি প্রগতিশীল পত্রিকার কাছ থেকে এমন আচরণ আশা করা যায় না। পরবর্তী সময়ে পত্রিকাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি খোঁজ নিয়ে জানান, সংস্কৃতি পত্রিকার নীতিনির্ধারকরা ভিন্নমত প্রকাশ করা এই পাঠপ্রতিক্রিয়াটি প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে লেখাটি ‘মঙ্গলধ্বনি’ পত্রিকার ওয়েবমাধ্যমে প্রকাশের জন্য পাঠানো হয়। (বিস্তারিত…)


লিখেছেন: বিনয় সেন

সম্প্রতি ইবনে মমতাজ নামে একজন লেখক মহান মাওবাদী কমরেড সিরাজ সিকদারের পেয়ারাবাগান যুদ্ধ ও তার রাজনীতি নিয়ে একটি পুস্তিকা লিখেছেন যার নাম দিয়েছেন, কমরেড সিরাজ সিকদার এবং পেয়ারাবাগান যুদ্ধের রাজনীতিপুস্তিকাটি প্রকাশ করেছে শিল্পসাহিত্যসংস্কৃতিবিষয়ক কাগজ খননএই পুস্তিকায় লেখক ইবনে মমতাজ কমরেড সিরাজ সিকদার ও তার পার্টির রাজনীতি নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন, যেখানে আব্দুল হকসহ অন্যদেরও সমালোচনায় এনেছেনপুস্তিকায় কমরেড সিরাজ সিকদার ও তাঁর পার্টির নেওয়া সব লাইনই সঠিক ছিল, এমন বক্তব্য এসেছে (বিস্তারিত…)


লিখেছেন: বিনয় সেন

অমর একুশে গ্রন্থমেলা২০২২’এ গ্রন্থিক প্রকাশন থেকে মনজুরুল হক সম্পাদিত ও অনূদিত ‘চ্যাং চুন চিয়াও–পুঁজিবাদী দুর্গে কামান দাগো’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। বইটির প্রচ্ছদ দেখলে মনে হবে ভেতরের সব লেখাই বুঝি চ্যাং চুন চিয়াওয়ের; কিন্তু আসলে তা নয়। এখানে কিছু লেখা রয়েছে চ্যাং চুন চিয়াওয়ের, কিছু লেখা তাঁকে নিয়ে, কিছু লেখা সাংস্কৃতিক বিপ্লবের উপর চীনের কমিউনিস্ট পার্টির এবং কিছু লেখার কোনো তথ্যসূত্র নেই। ফলে যে কোনো পাঠক সব লেখাই যদি চ্যাং চুন চিয়াওয়ের ধরে নেন তাহলে বিভ্রান্তিতে পড়বেন। (বিস্তারিত…)


লিখেছেন : বিনয় সেন

আবদুল হক এ দেশের সাম্রাজ্যবাদসম্প্রসারণবাদসামন্তবাদবিরোধী প্রধান নেতাদের অন্যতম। ১৯৬২ সালে মাও সেতুঙয়ের নেতৃত্বে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ক্রুশ্চেভীয় সংশোধনবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মতাদর্শগত মহাবিতর্ক চালানোর সময় বিশ্ব কমিউনিস্ট আন্দোলন মূলত দুই ভাগ হয়ে পড়ে। ক্রুশ্চেভকে যারা সমর্থন করতেন, তারা ‘মস্কোপন্থী’ এবং মাওকে যারা সমর্থন করতেন, তারা ‘পিকিংপন্থী’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। আবদুল হকও তখন পিকিংপন্থী নেতা ছিলেন। বলা যায়, ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত তিনি মাও চিন্তাধারার পক্ষেই ছিলেন; কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি বিশেষত আলবেনিয়ার বিপ্লবী নেতা এনভার হোক্সার লেখা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তৎকালীন মাও সেতুঙ চিন্তাধারার বিপক্ষে অবস্থান নেন। সেই সঙ্গে মাওবাদকে ‘সংশোধনবাদ’ বলে আখ্যা দিয়ে শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ১৯৭৬ সালে ‘মাও সেতুঙএর মূল্যায়ন সম্পর্কে’ প্রবন্ধের মাধ্যমে মাওকে সরাসরি ‘সংশোধনবাদী’ বলে আখ্যায়িত করেন। আবদুল হকের সেই প্রবন্ধ এবং মাওকে নিয়ে তাঁর চিন্তা ও মতামতকে খণ্ডন করতেই এই লেখার অবতারণা। (বিস্তারিত…)


কোভিড১৯ আগ্রাসনে যখন বিপর্যস্ত ভারত, তখনও অশীতিপর এক বৃদ্ধকে কারাগার থেকে মুক্তি দিতে নারাজ দেশটির কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। ভিমা কোরেগাঁও মামলায় কারাবন্দি রয়েছেন ৮১ বছর বয়সী বিপ্লবী কবি ভারাভারা রাও। ইতিমধ্যে ওই কারাগারে কয়েকজন কয়েদি কোভিড১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ বিপ্লবী কবির মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন দেশবিদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। সমাজে চিন্তাশীল, প্রগতিশীল মানুষ হিসেবে অন্তত মানবিক কারণে ভারাভারা রাওয়ের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করছি। (বিস্তারিত…)


লিখেছেন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

হিন্দুত্ব’ নামক ধর্মসংস্কৃতিভিত্তিক জাতীয়তাবাদের উত্থান

তুলনামূলকভাবে দেখলে দেখা যাবে, আজ যে হিন্দুত্ববাদের বিষবৃক্ষটি ফুলেফলে পল্লবিত হয়েছে, ব্রিটিশ সরকারই নিজেদের সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থে তার বীজ মাটিতে বপন করেছিল১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের পর ভারতীয় জনগণের একত্রিত বিদ্রোহী চেতনাকে ভাঙতে উপনিবেশবাদী ব্রিটিশ শাসকরা নিয়ে এসেছিল,ভাগ করো ও শাসন করো’ নীতিমূলত এর ওপর ভিত্তি করেই ভারতবাসীর মননে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের ঘনবিষ ঢুকিয়ে দেয় তারা। এরই মাধ্যমে ভারতীয় জনগণের ওপর তাদের শাসন, শোষণ ও লুণ্ঠনকে দীর্ঘায়িত করতে পেরেছিল১৮৭৫ সালে হান্টার সাহেবের লেখা ‘দ্য ইন্ডিয়ান মুসলমান’ বই থেকে ব্রিটিশরা আমদানি করেছিল ‘দ্বিজাতি তত্ত্ব’ (বিস্তারিত…)


লিখেছেন : সুশীল ঠাকুর এবং নির্ঝর মন্ডল

যে কোনো সামাজিকরাজনৈতিক গণআন্দোলনগণসংগ্রামের মধ্যেই দু’ধরনের লাইন, দু’ধরনের দৃষ্টিভঙ্গী লক্ষ্য করা যায়। একটি সঠিক লাইন, দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদী দৃষ্টিভঙ্গী তথা সর্বহারার শ্রেণী দৃষ্টিভঙ্গী সজ্জিত লাইন; অন্যটি বেঠিক লাইন তথা অদ্বান্দ্বিক, আধিবিদ্যক দৃষ্টিভিঙ্গী তথা অসর্বহারা দৃষ্টিভঙ্গীর প্রকাশ। (বিস্তারিত…)


লিখেছেন: সৌম্য মণ্ডল

অধিকার বোঝার হাসি

কি শুরু করেছেন আপনারা? কোন লাট সাহেব আপনারা যে, গরিব মানুষকে দয়া দেখাচ্ছেন? সহনাগরিক হয়ে মানুষকে তার অধিকার নিয়ে সচেতন না করে, কমরেড হয়ে শাসকশ্রেণীর বিরুদ্ধে সংগঠিত না করে, বাবু সেজে ত্রাণ বিতরণ করে ছবি তোলাটা সংসদীয় বা সংসদ বহির্ভূত কোন পার্টির লাইন? আমাকে উত্তটা দেবেন, নতুন থিওরি জানতে চাই। মানুষের মধ্যে সংগ্রামী চেতনা না গড়ে আপনারা ভিখারি চেতনা তৈরি করছেন। দীর্ঘ লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে গরীব মানু্ষের চেতনার যেটুকু গণতান্ত্রিকীকরণ হয়েছিল, চেতনার যেটুকু প্রগতি অর্জিত হয়েছিল কমরেডের রক্তের বিনিময়ে, সব আপনারা নষ্ট করার জন্য ওঠে পড়ে লেগেছেন। ইতিহাস আপনাদের ক্ষমা করবে না। (বিস্তারিত…)


লিখেছেন : শাহেরীন আরাফাত

১৯১৭ সালের ৭ নভেম্বর (গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে) রাশিয়ায় যে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল, তাতে বিপ্লবী কমিউনিস্টরা নিশ্চয় দ্বিমত করবেন না। তবে বলশেভিক বিপ্লব নিয়ে কথা বলার সময় একটা বিষয় অনেকেই এড়িয়ে যান যে, এরপর ১৯২২ সাল পর্যন্ত এক রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ সেখানে চলমান ছিল, যেখানে প্রাণ হারিয়েছিলেন কয়েক লাখ মানুষ। এমন এক পরিস্থিতিতে বৈপ্লবিক সমাজতান্ত্রিক বিনির্মাণকাজ একরৈখিকভাবে চলমান ছিল না। আর এক পশ্চাৎপদ সমাজে এই বিনির্মাণ প্রক্রিয়ায় পশ্চাদপসরণও ওই বিপ্লবেরই অংশ। কিন্তু তা অনুধাবনে ব্যর্থ হয়ে কমিউনিস্ট বা বামপন্থী নামধারী কেউ কেউ এ বিপ্লবকে বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লব বলে আখ্যায়িত করছেন। তারা সমাজতান্ত্রিক বিনির্মাণ প্রক্রিয়াকে এড়িয়ে এক কথিত বিশুদ্ধ সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন দেখছেন। সমাজতান্ত্রিক বিনির্মাণ প্রক্রিয়ায় যে সমাজতান্ত্রিক উপাদান বিদ্যমান ছিল, তারা সেটাকেই মুখ্য হিসেবে তুলে ধরে বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লবএর তত্ত্ব ফেরি করছেন। আর তাই একটা নির্ধারিত বিষয় নিয়ে নতুন করে লেখার ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও, কেন আমরা বলশেভিক বিপ্লবকে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব বলছি, তা স্পষ্ট করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। বলশেভিক বিপ্লবের ঘটনাবলী, তৎকালীন সময়ে রাশিয়ার আর্থসামাজিক অবস্থা এবং বিপ্লব পরবর্তী পুনর্গঠনকালে পার্টি গৃহীত কার্যক্রমে আলোকপাত করার চেষ্টা থাকবে এ লেখায়। রাশিয়ার কমিউনিস্ট পার্টির গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচী থেকে আমরা কৃষিপ্রধান দেশে সমাজতন্ত্রের পথে প্রাথমিক পুনর্গঠন সম্পর্কে ধারণা পেতে সক্ষম হই। যা এই বিপ্লবের ধরণ সম্পর্কেও আমাদের সম্মক ধারণা প্রদান করে। আর এ ক্ষেত্রে কমরেড ভ্লাদিমির লেনিন ও বলশেভিক পার্টির বক্তব্যকেই মূল তথ্যসূত্র হিসেবে ধরা হয়েছে। (বিস্তারিত…)


লিখেছেন : শাহেরীন আরাফাত

কমিউনিস্ট পার্টি কোনো দাতব্য সংস্থা বা চ্যারিটেবল ট্রাস্ট নয়। বিপ্লবী রাজনীতি আর চ্যারিটি এক নয়। অথচ ইদানিং দেখা যাচ্ছে, কেউ কেউ রাজনীতি আর চ্যারিটিকে গুলিয়ে ফেলছেন। বিপ্লবী রাজনৈতিক সংগঠনের প্রথম ও প্রধান কাজ হলো বিদ্যমান ব্যবস্থাকে প্রশ্ন করা, জনগণের সামনে শোষকদের উন্মোচন করা, দাবি আদায়ে আন্দোলনসংগ্রাম পরিচালনা করা, গণঅধিকার কায়েম করা। কোনো দাতব্য সংস্থা নিশ্চয় এমনটা করবে না! দাতব্য কর্মসূচি রাজনীতির একটি অংশ মাত্র, সমগ্র নয়। সংকটকালে জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে; কিন্তু রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন না হয়ে সেটা কেবল আংশিকভাবেই করা সম্ভব। ভিক্ষা দেওয়াতে কোনো দোষ নেই, যে কেউ তা করতে পারেন; কিন্তু ভিক্ষা কেন চাইতে হবে, একটা উন্নত সমাজে কেন ভিক্ষুক থাকবে?- এ প্রশ্ন তোলাটাই বিপ্লবী রাজনীতির কাজ। (বিস্তারিত…)