চ্যাং চুন চিয়াও–পুঁজিবাদী দুর্গে কামান দাগো: একটি মতাদর্শিক মূল্যায়ন

Posted: মার্চ 29, 2022 in মতাদর্শ, সাহিত্য-সংস্কৃতি
ট্যাগসমূহ:, , , , ,

লিখেছেন: বিনয় সেন

অমর একুশে গ্রন্থমেলা২০২২’এ গ্রন্থিক প্রকাশন থেকে মনজুরুল হক সম্পাদিত ও অনূদিত ‘চ্যাং চুন চিয়াও–পুঁজিবাদী দুর্গে কামান দাগো’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। বইটির প্রচ্ছদ দেখলে মনে হবে ভেতরের সব লেখাই বুঝি চ্যাং চুন চিয়াওয়ের; কিন্তু আসলে তা নয়। এখানে কিছু লেখা রয়েছে চ্যাং চুন চিয়াওয়ের, কিছু লেখা তাঁকে নিয়ে, কিছু লেখা সাংস্কৃতিক বিপ্লবের উপর চীনের কমিউনিস্ট পার্টির এবং কিছু লেখার কোনো তথ্যসূত্র নেই। ফলে যে কোনো পাঠক সব লেখাই যদি চ্যাং চুন চিয়াওয়ের ধরে নেন তাহলে বিভ্রান্তিতে পড়বেন।

অনুবাদক ভূমিকায় চীন বিপ্লবে চ্যাং চুন চিয়াওয়ের ভূমিকার বর্ণনা দিয়েছেন। মাও সেতুঙ মারা যাওয়ার পর সংশোধনবাদ কর্তৃক উল্লেখিত কথিত ‘চার কুচক্রী’, আসলেই যারা মাওবাদের অনুসারী, তাঁদেরই একজন চ্যাং চুন চিয়াও। বাকি তিন জন হলেন চিয়াং চিং, ইয়াও ওয়েন ইউয়ান এবং ওয়াং হং ওয়েন। চীন বিপ্লবে চ্যাং চুন চিয়াওয়ের অবদান স্মরণ করেই হয়ত অনুবাদক এই কাজটি হাতে নিয়েছেন; কিন্তু সবগুলো লেখা চ্যাং চুন চিয়াওয়ের হলে পাঠক বিভ্রান্তিতে পড়তেন না।

অনুবাদক ভূমিকায় এবং বইয়ের সর্বশেষ শিরোনামহীন একটি নিবন্ধে চ্যাং চুন চিয়াওয়ের সঙ্গে লিন পিয়াওকেও উর্ধ্বে তুলে ধরার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। সর্বশেষ নিবন্ধটিতে লিন পিয়াও সর্বদা মাওয়ের সহচর ছিলেন, মাওকে রক্ষা করেছেন এবং লিন পিয়াওয়ের বিরুদ্ধে যে সমালোচনা রয়েছে, এগুলোকে ‘তেংপন্থীদের ষড়যন্ত্র’ বলার চেষ্টা করেছেন। ভূমিকার ৮ নম্বর পৃষ্ঠায় অনুবাদক লিখেছেন ‘মাও সেতুঙ চিন্তাধারার এই আদি ও নীতিগত শত্রুরাই রঙবেরঙের কৌশলের মধ্য দিয়ে মাওয়ের বিরুদ্ধে পরোক্ষ যুদ্ধ চালাচ্ছিল। যতদিন যেতে থাকে এই পরোক্ষ যুদ্ধ সম্মুখ যুদ্ধে পরিণত হয় এবং এটাও সুস্পষ্ট হয়ে উঠে লিন পিয়াও এদের হাতেই নিহত হয়েছিলেন।’ এখানে অনুবাদক বলতে চেয়েছেন মূলত তেং শিয়াও পিংপন্থীরাই লিন পিয়াওকে হত্যা করেছে। অথচ আমরা জানি, লিন পিয়াও সোভিয়েত ইউনিয়নে পালিয়ে যাওয়ার সময় মঙ্গোলিয়ায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। তার এই নিহত হওয়ার ঘটনা তেংপন্থীদের পরিকল্পিত হত্যা–এমন বক্তব্যের পক্ষে জোরালো প্রমাণ কোথাও নেই; কিন্তু অনুবাদক লিন পিয়াওকে হত্যা করা হয়েছে বলে সিদ্ধান্ত টেনেছেন।

৮ নম্বর পৃষ্ঠায় এবং সর্বশেষ শিরোনামহীন নিবন্ধটিতে অনুবাদক যেভাবে লিন পিয়াওকে মাওয়ের অনুসারী দেখানোর চেষ্টা করেছেন, তা আসলে সঠিক নয়। বিপ্লবের অথরিটিদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে লাইনই প্রধান, আবেগ নয়। এটা সত্য যে, চীন বিপ্লবে লিন পিয়াওয়ের অনেক অবদান আছে, যা বিপ্লবীরা অস্বীকার নয়; বরং স্মরণ করে। তাই বলে তার ভুলগুলো এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। চীন বিপ্লবীর শুরুতেই বিপ্লব নিয়ে হতাশা ছিল তরুণ লিন পিয়াওয়ের। পার্টিতে এমন একটি চেতনা বিরাজ করছিল। মূলত লিন পিয়াওকে উদ্দেশ্য করেই মাও লিখেন প্রবন্ধ ‘একটি স্ফূলিঙ্গই দাবানল সৃষ্টি করতে পারে’। তবে সাংস্কৃতিক বিপ্লব চলাকালে (১৯৬৯ সালের পর) লিনের ভূমিকা হয়ে যায় পুঁজিবাদের পথিকের মতো। তাই সর্বহারা শ্রেণীলাইন দিয়ে বিবেচনা করলে তখন থেকে চীন বিপ্লবের শত্রু হিসেবে পরিগণিত হন লিন পিয়াও। এই ইতিহাস যতই আবেগঘন হোক না কেন, এটাই বাস্তবতা। লিন পিয়াওকে নিয়ে মাও অনেকবার সতর্ক করেছেন, তাঁকে শোধরাতে চেয়েছেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন। লিন পিয়াওকে নিয়ে মাওবাদের অনুসারী কথিত ‘চার কুচক্রী’র একজন ইয়াও ওয়েন ইউয়ান ১৯৭৫ সালে লিখেন তার দীর্ঘ প্রবন্ধ ‘অন দ্য সোশ্যাল বেসিস অফ লিন পিয়াও অ্যান্টিপার্টি ক্লিক (লিন পিয়াওয়ের পার্টিবিরোধী উপদলের সামাজিক ভিত্তি)’। ইয়াও ওয়েন ইউয়ান ছিলেন মাওবাদের প্রকৃত অনুসারী। তিনি সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় লিন পিয়াওয়ের সব পার্টিবিরোধী কর্মকাণ্ডের স্বরূপ উন্মোচন করেছেন। এরপরও কি অনুবাদক লিন পিয়াওকেই উর্ধ্বে তুলে ধরবেন?

ওয়াকিবহাল মহলের কাছে এটি অজানা নয় যে, মাওকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন লিন পিয়াওয়ের ছেলে। এই ঘটনা জানতে পেরে মাও তাঁর দেশব্যাপী সফর বাতিল করে ফিরে আসেন। এ ছাড়াও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির দশম কংগ্রেসে লিন পিয়াওয়ের পার্টিবিরোধী ষড়যন্ত্র নিয়ে অনেক বক্তব্য আছে। যদি ধরেও নেই যে, দশম কংগ্রেসে চৌ এন লাইয়ের ষড়যন্ত্রের কারণে লিন পিয়াওয়ের বিরুদ্ধে এমন অপবাদ রটেছে, তাও ধোপে টিকে না। কারণ দশম কংগ্রেসে সভাপতি ছিলেন মাও সেতুঙ। তাঁর নির্দেশেই দশম কংগ্রেসের খসড়া প্রস্তুত হয়। যেমন করে লিন পিয়াওয়ের নবম কংগ্রসের খসড়া অনেকবার সংশোধন করে লিও শাও চিকে ঠেকাতে মাওয়ের নির্দেশনায় প্রস্তুত হয়েছিল।

লিন পিয়াওয়ের চেতনার সঙ্গে মাও সেতুঙ যে সংগ্রাম করেছেন তার প্রমাণ আছে উৎস পাবলিশার্স থেকে অমর একুশে গ্রন্থমেলা২০১৯এ প্রকাশিত ও সরকার নজরুল ইসলাম অনূদিত বই ‘চেয়ারম্যান মাওয়ের কয়েকটি আলোচনা’এর ১১৭ নম্বর পৃষ্ঠার ২য় অনুচ্ছেদে। এই আলোচনাটির শিরোনাম ‘প্রদেশসমূহ সফরকালে দায়িত্বশীল কমরেডদের সঙ্গে আলোচনার সংক্ষিপ্তসার’। ওই অনুচ্ছেদে মাও ১৯৭০ সালে লুশান সম্মেলনে লিন পিয়াওয়ের বক্তৃতা নিয়ে বলেন, ‘কমরেড লিন পিয়াও সেই বক্তৃতা নিয়ে আমার সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। তাদের কিছু বলার থাকলে আগে থেকে প্রকাশ করেন না। ….কিন্তু যেই না তাদের বলা হলো যে তাদের ধারণা গ্রহণযোগ্য নয়, অমনি তারা ঘাবড়ে গেলেনওটা যদি সঠিকই হয় তাহলে প্রত্যাহার করা কেন?” এরপরই মাও বলেন, ‘১৯৫৯ সালে লুশান সম্মেলনে পেং তে হুয়েইয়ের সঙ্গে লড়াই ছিল দুই সদর দপ্তরের মধ্যকার লড়াই। লিও শাও চির সঙ্গে লড়াইও ছিল দুই সদর দপ্তরের মধ্যকার লড়াই। এই লুশান সম্মেলনের লড়াইটাও দুই সদর দপ্তরের মধ্যকার লড়াই।’ অর্থাৎ মাও বলছেন লিন পিয়াওয়ের বিরুদ্ধে লড়াইটাও দুই সদর দপ্তরের মধ্যকার লড়াই। তারপরও প্রথমে লিন পিয়াওকে রক্ষা করার কথা মাও বলেছেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত রক্ষা করতে পারেননি। মাও তাঁর সারাজীবনে যে দশটি মতাদর্শিক লড়াই করেছেন লিনবিরোধী লড়াই তার মধ্যে একটি।

এ ছাড়া লিন পিয়াওয়ের মতাদর্শের বহিঃপ্রকাশ যে তার বিভিন্ন লেখালেখির মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছিল তাও পাওয়া যায় উৎস পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত ও সরকার নজরুল ইসলাম অনূদিত ‘মাও এর শেষ জীবনের লড়াই: তেংবিরোধী সংগ্রামের ঐতিহাসিক দলিল’ বইয়ে। বইটিতে লিন পিয়াওকে নিয়ে একটি নিবন্ধের শিরোনাম ‘জ্ঞানের ব্যক্তিগত মালিকানার ওকালতকারী লিন পিয়াও মার্কা লোকদের প্রকৃত অভিসন্ধিটা কী?’ এ নিবন্ধের লেখক লিয়াং শিয়াও। নিবন্ধগুলোর সংকলক যুক্তরাষ্ট্রের কমিউনিস্ট পার্টির বিপ্লবী কর্মী রেমন লোট্টা। এই নিবন্ধে লিন পিয়াওয়ের ‘জ্ঞানতত্ব’ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আছে।

সুতরাং এটা স্পষ্ট যে, এতসব প্রমাণের পর লিন পিয়াওকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এটা কার্যত একটা মতাদর্শিক বিভ্রান্তি।

অনুবাদক লিন পিয়াওকে নিয়ে সবিরোধিতায় ভুগেছেন। ভূমিকায় তিনি লিন পিয়াওকে উর্ধ্বে তুলে ধরলেও বইয়ের শেষ পর্যায়ে একটি অনুবাদ থেকে দেখা যায়, সেখানে লিন পিয়াওয়ের পার্টিবিরোধী ষড়যন্ত্রের কথা বলা হয়েছে। লেখাটির শিরোনাম ‘যে কারণে মাওকে মহান সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সূচনা করতে হয়েছিল’। এই লেখাটা কার তা বুঝা যায় না। পড়লে অনুধাবন করা যায়, এটি হয়তো কোনো লেখার অনুবাদ। অনুবাদকও আমাদের এটা নিশ্চিত করেননি। তবে এটি চ্যাং চুন চিয়াওয়ের লেখা নয়, তা নিশ্চিত। নিবন্ধটির ১ম পৃষ্ঠায় লেখা আছে, ‘যে নেতাদের মনে হয়েছিল সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পক্ষে, তাদেরই একটি অংশ লিন পিয়াওয়ের নেতৃত্বে বিপ্লব সমাপ্ত করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। এই পরিকল্পনা যখন ব্যর্থ হয়ে যায়, তখন তারা মাওকে হত্যা ও ক্যুদেতার মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের প্রচেষ্টা নেয়।’ অর্থাৎ মনজুরুল হক যে লেখা অনুবাদ করছেন, সেখানেই লিন পিয়াওয়ের চরিত্র নিয়ে স্পষ্ট উল্লেখ আছে। তারপরও ভূমিকায় কেন তিনি লিন পিয়াওয়ের পক্ষপাতিত্ব দেখালেন–তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়! কারণ এগুলো স্পষ্টতই মতাদর্শিক বিভ্রান্তি। লিন পিয়াও নিয়ে এই বিভ্রান্তি দূর হোক।

বইটিতে মোট ১২টি নিবন্ধের অনুবাদ রয়েছে। এর মধ্যে চারটি লেখা মূলত চ্যাং চুন চিয়াওয়ের। ‘সংবিধান সংশোধনের রিপোর্ট’, ‘বুর্জোয়া শ্রেণির উপর সর্বহারা একনায়কত্ব প্রয়োগ সম্পর্কে সভাপতি মাওয়ের উদ্ধৃতি’, ‘দেং জিয়াও পিং এর ডান বিচ্যুতির সমালোচনা এবং তীব্র সংগ্রাম’ এবং ‘ডান বিচ্যুতিবাদী নির্মূলে শেষ পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাও’। এর মধ্যে শেষ দুটি লেখা মূল ইংরেজি অনুবাদে একটি প্রবন্ধ, যাকে অনুবাদক আলাদা করেছেন। প্রসঙ্গত, এই প্রবন্ধটির অনুবাদ এই দেশে নতুন নয়। শ্রাবণ প্রকাশনী থেকে অমর একুশে গ্রন্থমেলা২০১৩ এ ‘সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কয়েকটি দলিল’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়, যেখানে এই মূল ইংরেজি প্রবন্ধটির অনুবাদ করা হয়েছিল এবং একটি প্রবন্ধেই। একটি প্রবন্ধকে দুটি আলাদা প্রবন্ধে ভাগ করা হয়নি। বর্তমান অনুবাদক ভাগ করেছেন।

বুর্জোয়া শ্রেণির উপর সর্বহারা একনায়কত্ব প্রয়োগ সম্পর্কে সভাপতি মাওয়ের উদ্ধৃতি’ প্রবন্ধটির মূল ইংরেজি শিরোনাম ‘অন এক্সারসাইজিং অল অ্যারাউন্ড ডিক্টেটরশিপ ওভার দ্য বুর্জোয়াসি’। অনুবাদক এখানে ‘অল অ্যারাউন্ড’ এর বাংলা করেছেন ‘সর্বহারা’, যা সঠিক নয়। মূলত ‘অল অ্যারাউন্ড’ এর বাংলা হলো ‘সার্বিক’। চ্যাং চুন চিয়াওয়ের এই লেখাটিও এই দেশে নতুন অনুবাদ হয়নি। পূর্বোক্ত সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কয়েকটি দলিল বইয়ে এর অনুবাদ হয়েছে ‘বুর্জোয়াদের উপর সার্বিক একনায়কত্ব পরিচালনা করা সম্পর্কে’।

চ্যাং চুন চিয়াওয়ের উপর লেখাটি আন্তর্জাতিক মাওবাদী কেন্দ্র (আরআইএম)-এর প্রভাবিত পত্রিকা ‘আ ওয়ার্ল্ড টু উইন’ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, যা অনুবাদক অনুবাদের শুরুতেই বলেছেন।

এ ছাড়া আরও দুটি প্রবন্ধ যাদের শিরোনাম ‘মহান সর্বহারা সাংস্কৃতিক বিপ্লব সম্পর্কে চীনের কেন্দ্রীয় কমিটির বিবৃতি’ বা ‘৬৬ সালের ৮ আগস্ট, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি গৃহিত চীনের মহান সাংস্কৃতিক বিপ্লবের ১৬ দফা কর্মসূচি’র অনুবাদও নতুন নয়। ‘সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কয়েকটি দলিল’ বইটিতে এগুলো অনূদিত হয়েছে।

এর বাইরে দুটি অনুবাদের কোনো উৎস অনুবাদক দেননি। তাই এগুলো কার লেখা, সে সম্পর্কে পাঠক বিভ্রান্তিতে পড়বেন। লেখা দুটি যদি চ্যাং চুন চিয়াওয়ের হয় তাহলে অনুবাদকের প্রতি অনুরোধ রইল এর উৎস প্রকাশের। তা না হলে পাঠকের বিভ্রান্তি আরও বাড়বে।

পরিশেষে অনুবাদকের প্রতি অনুরোধ, মতাদর্শিক বিভ্রান্তি এড়িয়ে মাওবাদ সম্পর্কিত আরও গুরুত্বপূর্ণ লেখা, যা পূর্বে এদেশে অনূদিত হয়নি, তাতে আত্মনিয়োগ করুন। সেসব লেখা অনুবাদ করে এ ভূখণ্ডে মাওবাদের বিস্তারে ভূমিকা রাখার প্রয়াস তিনি চালাবেন–এমন প্রত্যাশা থাকল।।

বই: চ্যাং চুন চিয়াও–পুঁজিবাদী দুর্গে কামান দাগো

অনুবাদ ও সম্পাদনা: মনজুরুল হক

প্রকাশক: গ্রন্থিক প্রকাশন

প্রকাশকাল: অমর একুশে বইমেলা ২০২২

প্রচ্ছদ: রাজীব দত্ত

মূল্য: ৩৫০ টাকা

মতামত জানান...

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.