লিখেছেন: শাহেরীন আরাফাত
কাশ্মীরে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসীগোষ্ঠী জইশ–ই–মোহাম্মদ হামলা চালিয়ে অন্তত ৪৪ জন আধা সামরিক বাহিনীর (সিআরপিএফ) সদস্যকে হত্যা করেছে। এ নিয়ে কয়েকজন বন্ধুর বিক্ষিপ্ত মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই নিজের অবস্থান জানান দেওয়াটা জরুরি মনে করছি।
শত্রুর শত্রু মিত্র– এমন চিন্তা যেমন সঠিক নয়; তেমনি শত্রুর উপর হামলা হলেই সেটা ন্যায্যতা পেতে পারে না। বরং কে, কোন উদ্দেশ্যে, কার উপর হামলা চালালো– সেটাই বিষয়টির দৃষ্টিভঙ্গীর মোদ্দা কথা। কোনো সন্ত্রাসীগোষ্ঠী সাম্রাজ্যবাদ–সম্প্রসারণবাদের বুকে ছুরি চালালেও ওই সংগঠন সন্ত্রাসীই থাকে। আবার জনগণের মধ্যকার কোনো বিপ্লবী শক্তির যদি সেই মাপের সশস্ত্র আক্রমণ করার শক্তি না–ও থাকে, তবুও সেটি অবশ্যই বিপ্লবী শক্তি। কারণ– পার্থক্যটা গড়ে দেয় সেই চিন্তা কাঠামো– যা নির্ধারণ করে কে কার পক্ষে– কে গণমুখী, আর কে গণবিরোধী। আর এ কারণেই যখন সাধারণ কাশ্মীরী, বা তাদের স্বাধীনতার পক্ষে কোনো সংগঠন এমন হামলা চালালে, তার এক ভিন্ন ন্যায্যতা প্রাপ্য। আবার পার্শ্ববর্তী দেশের সেনা–সমর্থিত সন্ত্রাসীরা ওই হামলা চালালে তা ন্যায্যতা পেতে পারে না। সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্য স্বাধীনতা নয়, কাশ্মীরের পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্তি! (বিস্তারিত…)