Archive for ডিসেম্বর, 2012


লিখেছেন: তৃষা বড়ুয়া

rape protest-india-5--কেউ কি দুনিয়ার এমন কো্নো জায়গা/জনপদ/রাষ্ট্রের নাম বলতে পারবেন যেখানে নারী নিরাপদ সে শিশু, কিশোরী, তরুণী, মধ্যবয়স্কা, বৃদ্ধা যাই হোন না কেন? যেখানে নারীকে মানুষের মর্যাদা দেয়া হয়? যেখানে জীবনের প্রথম ভাগে পিতার, দ্বিতীয় ভাগে পতির এবং শেষ ভাগে পুত্রের নাম অভিভাবক হিসেবে চর্চা কিংবা ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না? যেখানে প্রতিটি নারী নিজেই নিজের অভিভাবক?

জন্মগ্রহণের পর থেকে একটি শিশুকে প্রতি পদে পদে directly/indirectly শেখানো হয় টিভিফ্রিজওয়াশিং মেশিনের মতো তুমিও একটা প্রফিটেবল প্রোডাক্ট! (বিস্তারিত…)


লিখেছেন: দিনমজুর (ব্লগার)

btrc_logo-বাংলাদেশের টেলিকম অপারেটরদের কাস্টমার প্রতি মাসিক আয় ভারতের তুলনায় দেড়গুণ এবং টেলিডেনসিটি ভারতের চেয়ে ১৫ শতাংশ কম (অর্থাৎ ভবিষ্যৎ বিকাশের সুযোগ বাংলাদেশে বেশি) হওয়া স্বত্ত্বেও থ্রিজি তরঙ্গ নিলামের বেলায় ভারতের এক তৃতীয়াংশ ভিত্তি মূল্য ধরে আগামী বছরের মধ্য জানুয়ারিতে থ্রিজি তরঙ্গের নিলাম ডাকতে যাচ্ছে বাংলাদেশ যার ফলে বাংলাদেশের অন্তত ২৪ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হবে!

টেলিযোগাযোগের কাজে ব্যবহৃত তরঙ্গ বা স্পেকট্রামকে আন্তর্জাতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সীমিত জাতীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয় যার অর্থনৈতিক মূল্য অপরিসীম। ফলে তেলগ্যাসকয়লার মতোই এই জাতীয় সম্পদ নিয়েও চলে বহুজাতিক ও দালালদের লুটপাটের খেলা। (বিস্তারিত…)


 প্রেস বিজ্ঞপ্তি

prb-1-কোনো মৃত্যু সংবাদও যেন এখন আর আমাদের কাঁদায়না। আমার অনেক বেশি আত্মকেন্দ্রিক হয়ে গেছি। কেবল নাগরিক জীবনের আত্মকেন্দ্রিক সুখই খুঁজি আমরা। চা খাই আর আড্ডা মারি, গল্প করি। খাই ফাস্টফুড। সারাদিন মত্য হয়ে থাকি বেনিয়া সংস্কৃতিতে। আমাদের সংগ্রাম শুধু অর্থবিত্তের জন্য। আমরা ভুলে যাই সেই আইলা দুর্গত মানুষের কথা। ভুলে যাই রাস্তার পাশের মানুষটিকে কিংবা আমাদের বাড়ীর পাশের হতদরিদ্র মানুষটির কথা। কোনো দিনই খবর রাখি না এমন সব খেটে খাওয়া মানুষের জীবন সংগ্রামের, দুমুঠো খাবার জোগাড় করাই জীবনের প্রধানতম ব্রত যাদের। অথচ এই মেহনতি মানুষগুলোর অক্লান্ত পরিশ্রমেই কিন্তু গড়ে উঠেছে আমাদের সুন্দর (!) সমাজটির প্রতিটা কণা। কিন্তু তাতে তাদেরই কোনো অধিকার নাই! (বিস্তারিত…)


লিখেছেন: মেহেদী হাসান

art works-18বাঙ্গালীর কি পাঠাভ্যাস আছে? থাকলেও বা সেটা কতটুকু? বুদ্ধির মাধ্যমে যারা জীবিকা অর্জন করে, জীবিকার তাগিদে তাদের বই পড়তে হয় বা পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে হয়; না হলে তাদের চলেনা; তাদের কথা নয়। আমার প্রশ্নটি হচ্ছে, জনসাধারণের মধ্যে পাঠাভ্যাস আছে কি না; থাকলেই বা সেটা কতটুকু?

প্রথমেই আসি ছাত্রদের কথায়, গুটিকতক বাদে ছাত্রদের অধিকাংশ প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া বাদে, অন্য কোন বইয়ের মলাটও চোখ মেলে দেখতে চায় না। প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়াও আবার সীমিত থাকে কতিপয় নোট মুখস্থ করার মধ্যে। তাদের অন্তিম লক্ষ্য, নোট মুখস্থ্ করে, পরীক্ষা দিয়ে; ভাল মানের একটি সার্টিফিকেট জোগাড় করা। (বিস্তারিত…)


লিখেছেন: অস্পৃশ্য সৃজন

art works-14-তারপরও

তুমি বেঁচে থাকো নিকৃষ্ট

অন্ধকারে

নির্বাক পশু হয়ে,

অধিকারহীন(বিস্তারিত…)


art works-11-কোন আগামীতে

এবং তারপর চারিদিকে ভাঙচুর পতনধ্বনি, মনে হলো

এক পাহাড় ধ্বসের মুখে কিংকর্তব্যবিমুঢ় আমি। ফুরিয়ে যাচ্ছে সকল

শক্তি, বন্ধ হয়ে আসছে নিশ্বাস, মুছে যাচ্ছে আলো। আমি এক অন্ধকারে

ঠাঁয় দাঁড়িয়ে যেনো এক অচিন বৃক্ষ যে তার নিজ ভারে দাঁড়াতে পারছে না আর। (বিস্তারিত…)


লিখেছেন: মেহেদী হাসান

Hemango Biswasকাস্তেটারে দিও জোরে শান কিষাণ ভাইরে/ কাস্তেটারে দিও জোরে শান/ ফসল কাটার সময় এলে কাটবে সোনার ধান/ দস্যু যদি লুটতে আসে কাটবে তাহার জান রে

হেমাঙ্গ বিশ্বাসের গান কিষাণের কাস্তের মতই বাঁকা এবং খাঁজ কাটা ধারালোব্লেডের মত মসৃন ধারালো নয়। তার গানের কথা, ছন্দ ও সুর থেকে শ্রমিকের হাতুড়ির ধাতব শব্দ উঠে। আমাদেরকে আবেশে ভাসিয়ে নিয়ে যায়না, প্রচন্ড আঘাত করে আমাদের জীর্ণতাকে খসিয়ে ফেলে; কামারের বলিষ্ঠ পেশীতে পিটিয়ে পিটিয়ে আমাদের ম্রিয়মান চেতনাকে ক্ষুরধার বিপ্লবী চেতনায় রুপান্তরিত করে। হেমাঙ্গ বিশ্বাসের কন্ঠে উচ্চারিত গান আমাদের হাতে শোষণ বিধ্বংসী যুদ্ধাস্ত্র হয়ে নেমে আসে। (বিস্তারিত…)


art works-10-বিশ্বজিৎ

এতদিন কবিতায় পেয়েছি এক মুঠো মাটি

এক চিলতে আকাশ, এক বুক বিশ্বাস

এক ঘুম স্বপ্ন, সবুজ বসন্ত

উদ্দিপ্ত যৌবন, তপ্ত প্রহর

খাঁ খাঁ আগুন চেতন, নরম ভোরের সূর্যসোহম

সেই সাথে পেয়েছি তোমাকেও(বিস্তারিত…)


লিখেছেন: ইরতিশাদ আহমদ

us-aggressionদেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে’

পেশাগত কাজে গত মাসে (নভেম্বর, ২০১২) আমাকে বেশ কয়েকবার যেতে হলো ডমিনিকান রিপাব্লিকের রাজধানী সান্তো ডমিঙ্গোতে। মায়ামি থেকে আকাশ পথে মাত্র দুইঘন্টার ফ্লাইট। দেশটা সম্পর্কে আগ্রহ জাগলো মনে। টুকটাক জেনে নিলাম ইন্টারনেট ঘেটে। যতই ঘাটি ততই মনে হয় ‘চিনি উহারে’।

দেশটা সম্পর্কে যতই নতুন নতুন তথ্য জানতে পারি, ততই মন খারাপ হয়। মন খারাপ হলেও অবাক হই না। ডমিনিকান রিপাব্লিকের ইতিহাসে যা ঘটেছে আমার জানা এই অঞ্চলের এবং ঔপনিবেশিক শাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট বিশ্বের অন্যান্য দেশের ইতিহাসের সাথে তার তেমন কোন অমিল নেই। (বিস্তারিত…)


লিখেছেন: বন্ধু বাংলা

revolt now-1৫২ সালে যে ভাষা আন্দোলন হয় সেটা মূলত আমাদের জাতীয়তাবাদী চেতনার একটি আকাঙ্ক্ষা ছিল। এর একটি সাংস্কৃতিক রূপ ছিল, কিন্তু কোন গুপ্ত আধিপত্যবাদী রাজনৈতিক ইচ্ছা কি লুকিয়ে ছিল?

১৯৪৮ থেকে ৫২’র যে ভাষা আন্দোলন, তা ছিল বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্র ভাষার দাবী, একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা নয়। এটা ছিল ঐ আন্দোলনের একটা ইতিবাচক মাত্রা। এই মাত্রার অন্য দিকে ছিল ভিন্ন একটি নেতিবাচক মাত্রা ও প্রতিক্রিয়াশীল উপাদান। কিংবা বলা যেতে পারে ৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাঝে ও পরবর্তীতে এইসব নেতিবাচক মাত্রা ও প্রতিক্রিয়াশীল উপাদান ঢুকিয়ে দেয়া হয় বা এসব উপাদান সুপ্ত অবস্থায় ছিল যা পরবর্তীতে আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে প্রকাশিত হয়ে পড়ে।দাবীটি হওয়া উচিত ছিল পূর্ব বাংলার সরকারী ভাষা হবে বাংলা এবং অপরাপর যে সব ভাষাভাষী আছে, তাদের জন্যও মাতৃভাষা রূপে নিজ নিজ ভাষা লিখন ও পঠনে ব্যবহৃত হবে। (বিস্তারিত…)