Archive for ফেব্রুয়ারি, 2012


লিখেছেন: মীর মোশারফ হোসেন

মাও যখন সূর্যকে পেছনে ফেলে হেঁটে আসছিলেন

রোদ্দুর তখন একটু একটু কমছে

শিবিরে ফিরেই দেখলেন কমরেডরা চঞ্চল,কেউ কেউ উত্তেজিত

তাড়িয়ে দাও ওদের’

নষ্টামী করার জন্য আর জায়গা হলো না ওদের’

তিনমাস ধরে হাঁটছি,যুদ্ধ করছি আর তারা কীনা প্রেম করছে’

আমাদের কষ্টের জীবনকে অবজ্ঞা করে তারা একজন আরেকজনের ললাটে নিজেদের ভালবাসার

স্বপ্নে বিভোর

কয়েকজন উৎসাহী যোদ্ধার হাতে দ্রুত খুবই নিলোর্ভ পাথর উঠে এলো

কেউ কেউ বেয়ওনট খুজঁছে,ভয় দেখিয়ে তাড়াতে হবে হতভাগাদের (বিস্তারিত…)


লিখেছেন: মাহবুব হাসান

কমিউনিস্ট ফ্যানিফেস্টু লেখার সময়কালে কার্ল মার্কস ও ফ্রেডরিক এঙ্গেলস

কমিউনিস্ট ফ্যানিফেস্টু লেখার সময়কালে কার্ল মার্কস ও ফ্রেডরিক এঙ্গেলস

আজ ১৬৪ বছর একদিন পর আবারো কার্ল মার্কস ও ফেড্রিক এঙ্গেলস’র লেখা মানবমুক্তির শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য `কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো’কে নিয়ে দু’একটা কথাই পাঠক আপনার সাথে ভাগ করে নিব। জগৎএর সকল মেহনতি, শ্রমজীবি, মজদুরের লাঞ্ছনারবঞ্চনার, আধিপত্যের কড়ালগ্রাসে দাসত্বের অমানবিক শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকার এক দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সভ্যতা গড়ে উঠার সাথে সাথে সুবিধাভোগীরা শ্রেণী হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। জমিফসলের মালিকানা থেকে শুরু করে সকল গোষ্ঠীয় আইনকানুন, অর্থনৈতিক কাঠামো, এমন কি নিজেদের ইচ্ছে মতন তারা একটি জীবনমানও তৈরী করেছে। যার প্রতিটি ক্রিয়াই নিম্নশ্রেণীর ওপর এক কসাঘাত। যারাই যখন সমস্ত ক্ষমতা কাঠামোটি নিয়ন্ত্রণ করেছে, তারাই কৃত্রিমভাবে এক ধরণের সামাজিক শিক্ষাব্যবস্থাকে সুকঠিনভাবে নিয়ন্ত্রণ করার মধ্য দিয়ে সমাজের মধ্যে শ্রেণী বৈষম্যকে একটি স্থায়ীরূপ দিয়ে কতগুলো সুবিধা অনুযায়ী মূল্যবোধ তৈরী করে সামগ্রিক জনগণকে নিষ্পেষিত করেছে। আর এই মানব সভ্যতায় এক আশ্চার্যজনক ঘটনা হলোযারাই সমাজ বা গোটা পৃথিবী ব্যবস্থা নিয়ে ভেবেছেন বা চিন্তার ইতিহাসকে বিভিন্নভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তাদের কারোর ভাবনা জগতেই এ ব্যপারটা কাজ করেনি যে আসলে এ মহাবিশ্বের মূল কার্যকারণটি কি? কিসের ভিত্তিতে তা অগ্রসরমান বা স্থির?

এক দ্বান্ধিক অবস্থার মধ্য দিয়ে সকল কিছুই নতুন এক উৎপাদনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। এ ছিলো নব এক আবিষ্কার। যা মানব জাতির চিন্তার ইতিহাসকে এক অনন্য ‘কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো’ মহাকাব্যের উপহার দিয়েছিলো। মার্কসএঙ্গেলস’র আবিষ্কারটি কি? পুঁজিবাদী উৎপাদনপদ্ধতির এবং এই পদ্ধতি যে বুর্জোয়া সমাজ সৃষ্টি করেছে, তার গতি প্রকৃতির বিশেষ নিয়মগুলো তারা অর্ন্তদৃষ্টি সম্পন্ন এক যৌক্তিক পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে সকলের সামনে উপস্থিত করেছেন। পুরোনো যুক্তি কাঠামোর প্রক্রিয়া ও প্রবনতাগুলোকে সুনিপুন ও ঐতিহাসিকভাবে লব্ধ জ্ঞানকে খারিজ না করে তার থেকে বিভিন্ন প্রযোজনীয় উপাত্ত নিয়ে এক নতুন শক্তিশালী ও প্রখর যুক্তি কাঠামো উপস্থাপন করেছেন। যা বৈজ্ঞাণিকভাবেও সিদ্ধ। কমিউনিস্ট ইশতেহার পাঠ করার সময় আমাদের একটা কথা খুব ভালভাবে মনে রাখতে হবে যে মার্কস নিজেই একজন বিপ্লবী ছিলেন। তিনি তাঁর সমস্ত চিন্তা কাঠামোটিকে কাজে লাগিয়ে ছিলেন পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থাটির চূড়ান্ত উচ্ছেদ করা। এবং সে সংগ্রামে সমস্ত জীবন তিনি ব্যয় করেছেন তাঁর সকল কাজে ও রচনাবলীতে। ইশতেহারের শিক্ষার আরো একটি প্রধান দিক হলোসমগ্র প্রলেতারিয়েতের স্বার্থ থেকে বিচ্ছিন্ন স্বতন্ত্র কোন স্বার্থ নেই। (বিস্তারিত…)


লিখেছেন: অরবিন্দ অনন্য

আমি ঘুমোতে পারি না!

আমাকে যেন সারা রাত জেগে থাকতে হবে!

আমার বড় কষ্ট হয়।

আমি ঘুমোতে পারিনা, স্বপ্ন দেখতে পারি না!

স্বপ্ন ভঙ্গের ভয়ে আমি জেগে উঠি

আমার শরীর ঘেমে যায়

এই সমাজ আমাকে কলুষিত করে

ভদ্রতার মুখোশ পড়তে বলে!

হতে বলে চরম মানবতাবাদী!

আমি যেন মানবতার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিব!

অথচ আমি সুযোগের অপেক্ষায় থাকি।

এই সমাজ আমাকে টেনে নেয় দস্যুদের দলে

যেখানে আমি লুট করি অসহয় মানুষের সম্বল

আমি লুট করি সম্ভ্রম, লুট করি ওদের অস্তিত্ব! (বিস্তারিত…)


লিখেছেন: সত্যজিত দত্ত পুরকায়স্থ

.

রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক কিংবা সাংস্কৃতিক যেকোন বিবেচনায় ভারতবাংলাদেশের সর্ম্পক দক্ষিন এশিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ। যদিও কুটনৈতিক পরিভাষায় দিল্লি ঢাকা’কে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ মনে করে তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয়ের কারণ সাম্প্রতিককালের চলমান ঘটনাপ্রবাহে বিদ্যমান। বাংলাদেশে ভারতকে নিয়ে দু’ধরনের প্রচারণা রয়েছে। একটা প্রশ্রয়মূলক আর অন্যটা উস্কানীমূলক এবং এই দুই প্রচারণাই যুক্তির বিবেচনায় “অমূলক”। এক পক্ষের যুক্তি ভারত আমাদের বন্ধু। বিভিন্ন সময় বিশেষতঃ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সাহায্যসহযোগিতা এই পক্ষের যুক্তির মূল অস্ত্র। এই প্রচারণার একটা গোপন ধমক হচ্ছে ভারতের সমালোচনা করা শোভন নয় বা অকৃতজ্ঞতার সামিল। আর অন্য পক্ষের প্রচারণা হলো ভারত হিন্দু রাষ্ট্র, এই বিবেচনায় সে আমাদের বন্ধু হতে পারেনা, অর্থাৎ স্পষ্টতঃই সাম্প্রদায়িক প্রচারণা এবং এই প্রচারণা বয়সে বেশ প্রবীন, যার শুরু বঙ্গভঙ্গের সময়কাল থেকে। এই প্রচারণা শুনলে কানে মুসলিম লীগের প্রেত্মাত্বার চাপা আর্তনাদ ভেসে আসে। শেষ বিচারে উভয় প্রকার প্রচারণাই পরিত্যাজ্য।

.

এই লেখার বিষয়বস্তু খুব সাম্প্রতিক ঘটনাবলী। ভারতের সাথে আমাদের সীমান্ত দৈর্ঘ্য ৪১৪৪ কিলোমিটার। আমরা গত কয়েক বছরের ভারতবাংলাদেশ সীমান্ত পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে দেখতে পাইভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসেফের হাতে বাংলাদেশী হত্যা, গুম, নির্যাতন, সীমান্তে কাটাতারের বেড়া নির্মাণ ইত্যাদি। (বিস্তারিত…)


লিখেছেন: আলবিরুনী প্রমিথ

মনে রেখো সেই বন্ধুরা আমার

যারা বিদ্রোহকে আজও ভালোবাসো,

আশাহীনতার মাঝে আশার অন্বেষন করো

তোমাদের আশা যাদের ভীতি, তোমাদের স্বপ্ন

যাদের কাছে জুজুর ভয়, সীমাহীন আতংক

তারা বিনা রক্তপাতে তোমার মৃত্যু দেখতে চায়।

তারা’ আমাদের নিকটেই বাস করে,

তারা’ আমাদের পাশেই নিশ্বাস নেয়,

তারা’ আমাদের বন্ধু নয়, হতে পারেনা।

আমাদের তারা থাকতে দেবেনা, নিশ্চিত থাকো

আমাদের হাসিকে তারা ভয় পাবে, উজ্জ্বল চোখ দুটি

তারা ঘোলাটে করে দিতে চাইবে, চাইবে যেন এক সময়

চোখ দুটি দিয়ে তুমি জগৎকে না দেখো, নিজেদের না জানো। (বিস্তারিত…)


লিখেছেন: ম হাসান

ইতিহাস প্রায়শ গল্পে পরিণত হয় কিংবা কিংবদন্তীতে এবং এতে এক ধরণের সরলীকীকরণের ঝুঁকি থাকে অথবা বলা যায় ইতিহাস তখন তার বাস্তব অস্তিত্বের বহুমাত্রিকতা হারায়। বিশেষত যে দেশে শিক্ষিতের হার নিতান্ত সামান্য সেখানে সেটা আরো স্বাভাবিক, কারণ গল্প মনে রাখা এবং ছড়িয়ে দেয়া সহজ। একটা বহুল প্রচলিত উক্তি আছে যে, ইতিহাসের শিক্ষা এই যে, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না ()

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ভাষাবিতর্ক নিয়ে ভাবতে গিয়ে এই কথাগুলোই বিশেষভাবে মনে এলো। প্রথমত, এই ভাষাবিতর্ক অবধারিতভাবে শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। যেহেতু জনগোষ্ঠীর একটি বিরাট অংশই কোন ধরণের আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ থেকেই বঞ্চিত, তাদের পক্ষে এমন উচ্চতর প্রসঙ্গে বিতর্কে অংশগ্রহণ অভাবনীয়। (তবে আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে তাদের মতামত জানতে ইচ্ছুক এবং জানবার চেষ্টা করছি। সেই কাজ শেষ হলে তা নিয়ে পরবর্তীতে লিখবার আশা রাখি।)

এটা বুঝবার জন্যে বুদ্ধিজীবী হবার প্রয়োজন পড়ে না যে, একটি ভাষাভাষী অঞ্চলের কথ্য ভাষার নানান রূপ থাকে বলেই একটি মান ভাষার প্রয়োজন পড়ে এবং এমনটা পৃথিবীর সব ভাষাতেই বর্তমান। আমরা যখন বলি, পৃথিবীর সব ভাষা‘, তখনও এক অর্থে বিভিন্ন ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর মান বা প্রমিত ভাষার প্রতিই নির্দেশ করি, তাদের আঞ্চলিক ভাষাগুলোর প্রতি নয়। কিন্তু এতে করে ঐ সমস্ত ভূখণ্ডের আঞ্চলিক ভাষাগুলি খারিজ বা অস্তিত্বহীন হয়ে যায় না। (বিস্তারিত…)


লিখেছেন: অরবিন্দ অনন্য

ভারি ভারি দামি দামি অস্ত্রে ভরে গেছে অস্ত্রাগারগুলো

সজ্জিত হচ্ছে নানা রঙে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বাহিনীর সব সদস্য

নানা নামের ইউনিট গুলোতে পৌঁছে যাবে অস্ত্রগুলো

খেয়ালখুশি মতো ঝাঁপিয়ে পড়বে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বাহিনী

আলপনা এঁকে দিবে লাল রক্তে; দুমড়ে মুচড়ে যাবে

আলোর মিছিলের সব গুলো হাত পা এমনকি মুখও

বিচার হবে না, থামবে না সন্ত্রাসের মহড়া

নানা ঢঙের নানা রঙের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের !

মাঝে মাঝে রাষ্ট্রের হুকুমে ইনডিমিনিটি জারি হবে ; (বিস্তারিত…)


লিখেছেন: প্রীতম অংকুশ

নৈশব্দের আলোকচ্ছটায় ঘুম ভাঙলো আজ,

আগামীকালও ভাঙবে,

হয়তোবা পরশুওতারপর দিনকে দিন চলতেই থাকবে…..

সশব্দের বাঁক ঘুরে এসেছি ইদানীং।

এইতো সেদিন,

যখন কোলাহলপূর্ণ বন্ধুতায় জড়িয়েছিল পূর্ণিমা ! (বিস্তারিত…)


লিখেছেন: আলবিরুনী প্রমিথ

If you talk to a man in a language he understands, that goes to his head. If you talk to him in his language, that goes to his heart.” – Nelson Mandela

দুই’শ বছর ধরে ব্রিটিশদের পায়ের নিচে থেকে সাদা চামড়ার পাড় ভক্ত এই আমরা নেলসন ম্যান্ডেলার মর্ম বুঝতে কোনদিনই সক্ষম ছিলাম না। স্কুলে থাকতে বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলো যতক্ষণ পর্যন্ত নষ্ট হবার পথে পা বাড়ায়নি ততক্ষণ পর্যন্ত পরীক্ষায় যদি ‘তোমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব’ নামক রচনা আসে তবে তাতে হয়ত হাতেগোনা দুই একজন নেলসন ম্যান্ডেলার কথা লিখবে। ব্যাস এই পর্যন্তই, আর হয়ত আমাদের গাত্রবর্ন কৃষ্ণ বলেই ভদ্রলোককে আমরা নিদেনপক্ষে ঘৃণা করিনা। এমতাবস্থায় তার উপরিউক্ত উক্তিটির মর্ম এই জনপদের মানুষ বুঝবে এমনটা প্রত্যাশা করা আর ক্রিকেট খেলার কোন বড় আসরে দক্ষিন আফ্রিকা জিতবে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার (!) মাঝে বিশেষ কোন পার্থক্য নেই। কিন্তু তারপরেও উক্তিটির কথা চলে আসে, ২১ ফেব্রুয়ারী নামক একটি দিনকে আমরা অস্বীকার করে যেতে পারিনা বলেই।

২১ ফেব্রুয়ারী নিরীহ ঘরানার ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ নয়, তাকে এমনটা বানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমরাও সাগ্রহে মেনে নিয়েছি। ২১ ফেব্রুয়ারী তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ভাষাভিত্তিক বিদ্রোহ, প্রতিবাদ। কিন্তু এখন কি দেখা যাচ্ছে? ৪ দশক ধরেই এর বৈপ্লবিক দিকটি আপামর জনসাধারণের নিকট বিস্মৃত, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারীর মর্ম প্রতিটি দিনে ভুলুন্ঠিত। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত প্রতিটি ২১ ফেব্রুয়ারীতে অনানুষ্ঠানিক কিন্তু স্বতঃস্ফূর্ত ‘প্রভাতফেরী’ দেখা যেত, দেখা যেত ভাইয়ের বোনের প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা নিবেদন। কিন্তু আমাদের আর তর সইলোনা, রাত বারোটা বেজে এক মিনিটে সৈন্য সামন্তদের নিয়ে রাষ্ট্রের কুশীলবদের রাষ্ট্রীয় পদানুযায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়ে দাঁড়িয়েছে আনুষ্ঠানিকতা। প্রভাতফেরীর ধব্বংসাবশেষ টুকরা টাকরা হয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এদিকে ওদিকে। আমরা হাত তালি দিয়েই যাচ্ছি তো দিয়েই যাচ্ছি, প্রভাতফেরী নয় তালেবরদের পুষ্পস্তবক অর্পণেই আমরা খুশী! (বিস্তারিত…)

কর্পোরেট কালো থাবায় স্বকীয় বাঙলা ভাষার নাভীশ্বাস

Posted: ফেব্রুয়ারি 20, 2012 in দেশ, মন্তব্য প্রতিবেদন, সাহিত্য-সংস্কৃতি
ট্যাগসমূহ:, , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , ,

কর্পোরেট কালো থাবায় স্বকীয় বাঙলা ভাষার নাভীশ্বাস এবং ভাষার আধুনিক টার্মোলজি :: রাষ্ট্রের উগ্র জাতীয়তাবাদ

লিখেছেন: মালবিকা টুডু

মনের ভাব প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম ভাষা; তবে ভৌগোলিক অবস্থান, কাল ভেদে তা পরিবর্তনশীল। হাজার বছর আগেও ভাষার উন্মেষ ঘটেছিল, আবার হাজার বছর পরেও ভাষা থাকবে; তবে মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশের সাথে সাথে তার স্বরূপ পরিবর্তিত হয়, সেই সাথে পরিবর্তন আসে সাহিত্যসংস্কৃতি, জীবন আচারেও। ভাষাবিজ্ঞানীদের মতে, যেখানেই মানুষ আছে, সেখানেই ভাষা আছে; আদিম ভাষা বলে কিছু নেই, সব মনুষ্য ভাষাই সমান জটিল এবং মহাবিশ্বের যেকোন ধারণা প্রকাশে সমভাবে সক্ষম; যেকোন ভাষার শব্দভাণ্ডারকে নতুন ধারণা প্রকাশের সুবিধার্থে যৌক্তিক উপায়ে নতুন শব্দ গ্রহণ করিয়ে সমৃদ্ধ করা সম্ভব; সব ভাষাই সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয; মানুষের ভাষায় ভাষায় যে পার্থক্য, তার কোন জৈবিক কারণ নেই; যেকোন সুস্থ স্বাভাবিক মানব সন্তান পৃথিবীর যেকোন ভৌগলিক, সামাজিক, জাতিগত বা অর্থনৈতিক পরিবেশে যেকোন ভাষা শিখতে সক্ষম।

ভাষার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল তার সৃষ্টিশীলতা; ভাষাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে পারে জাতি, এমনকি জাতিরাষ্ট্র; উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশ রাষ্ট্র’র কথাই বলা চলে। ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্র ভাষাকে কেন্দ্র করে যে আন্দোলন শুরু হয়, তা সর্বাত্মক আন্দোলনের রূপ লাভ করে ১৯৫২ সালে; পরবর্তীতে এরই ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালে জাতিরাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ। তবে এই আন্দোলনের বীজ বোনা হয় ১৯৪৭ সালে, যখন আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড: জিয়াউদ্দীন আহমদ উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার সুপারিশ করেন। ড: মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানান “পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা সমস্যা” প্রবন্ধে, সেখানে তিনি লেখেন– “কংগ্রেসের নির্দিষ্ট হিন্দীর অনুকরণে উর্দু পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা রূপে গণ্য হইলে তাহা শুধু পাশ্চাদগমনই হইবে।…….. বাংলাদেশের কোর্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষার পরিবর্তে উর্দু বা হিন্দী ভাষা গ্রহণ করা হইলে, ইহা রাজনৈতিক পরাধীনতারই নামান্তর হইবে।” দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতবর্ষ ভাগ হয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠিত হয়, কিন্তু পাকিস্তানের দুটি অংশ পূর্ব পাকিস্তান (পূর্ব বাংলা, বর্তমান বাংলাদেশ) ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক ও ভাষাগত দিক থেকে যে বিশাল পার্থক্য ছিল, সেই পার্থক্যকে শাসকশ্রেণী কখনোই লঘু করার চেষ্টাটুকুও করেনি তাদের শ্রেণী চরিত্রের কারণেই। (বিস্তারিত…)