Archive for এপ্রিল, 2024


লিখেছেন: সুমন কল্যাণ মৌলিক

প্রস্তাবনা

আজকের পৃথিবীতে আর্থিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চালচিত্রে ফ্যাসিবাদ বিষয়ক আলোচনা এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতর্কে পরিণত হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, বিংশ শতকে শুরু হওয়া থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যন্ত এক ঐতিহাসিক পর্ব শেষ করে নিঃশেষিত হয়ে যাওয়া ফ্যাসিবাদকে নিয়ে আবার এত আলোচনার কারণ কী! এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হলো বর্তমান সময়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র পরিচালনায়, রাষ্ট্র নীতিতে, সংবিধান মেনে তৈরি হওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ডে এমন কিছু চরিত্র লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে যার সঙ্গে ইউরোপে ত্রিশচল্লিশ দশকে গণতন্ত্রকে ব্যবহার করে যে ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়েছিল তার যথেষ্ট সাদৃশ্য আছে। আজ থেকে ঠিক একশ বছর আগে ইতালিতে ফ্যাসিবাদীরা ক্ষমতা দখল করেছিল। ১৯২২ সালে ইতালির রাজা ইমানুয়েল, বেনিতো মুসোলিনি ও তার সাথীদের রোম অভিযানের হুমকির সামনে মাথা ঝুঁকিয়ে ফ্যাসিবাদের ক্ষমতালাভকে সাফল্যমণ্ডিত করেছিল। আর আজ নির্বাচনের মাধ্যমে নয়া ফ্যাসিবাদের মতাদর্শের পতাকাকে উর্ধ্বে তুলে ধরে ইতালিতে ক্ষমতা দখল করল তিনটি চরম দক্ষিণপন্থী দলের জোট। এ যাত্রায় ক্ষমতার পালাবদল শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক ও নির্বাচনী রাজনীতির স্বাভাবিক পরিণাম। এই মুহূর্তে ইউরোপে শুধু নয়, বিভিন্ন দেশে উগ্র দক্ষিণপন্থী রাজনীতির যে বিকাশ ঘটছে তাতে ফ্যাসিবাদী মতাদর্শের চরিত্র লক্ষণ স্পষ্ট। এই পরিস্থিতিতে নয়া ফ্যাসিবাদের উদ্ভব, লক্ষণ, চরিত্র বিচার এবং ধ্রুপদী ফ্যাসিবাদের সঙ্গে তুলনা সংক্রান্ত চর্চা বাড়ছে। বর্তমান নিবন্ধটি সেই চলমান চর্চার অংশ হিসেবে রচিত। (বিস্তারিত…)


লিখেছেন: রেজাউল কবির

প্রগতিশীল ও বামপন্থী মহলে পরিচিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ও সমাজতন্ত্রের বলিষ্ঠ সমর্থক প্রগতিশীল পত্রিকা ‘সংস্কৃতি’র ৫০ বছরে পদার্পণ এপ্রিল/২০২৩ সংখ্যায় পত্রিকাটির ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মুঈনুদ্দিন আহমেদের ‘বাংলাদেশের সমাজ পরিবর্তন ও মার্কসবাদলেনিনবাদের প্রাসঙ্গিকতা’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। ওই লেখায় বাংলাদেশের সমাজ পরিবর্তনের বিপ্লবী রাজনীতির রণনীতিরণকৌশল সম্পর্কে বেশকিছু বিতর্কিত বিষয় উত্থাপন করা হয়েছে। এই বিতর্ক এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে বর্তমান লেখাটির অবতারণা।

প্রসঙ্গত, ‘সংস্কৃতি’ পত্রিকা তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য হিসেবে উল্লেখ করেছে– মতবাদিক বিতর্ক ও চলমান রাজনৈতিকসাংস্কৃতিক আন্দোলন সম্পর্কে বিশ্লেষণ উত্থাপন করা। স্বাভাবিকভাবেই ‘বাংলাদেশের সমাজ পরিবর্তন ও মার্কসবাদলেনিনবাদের প্রাসঙ্গিকতা’ নিবন্ধটির পাঠপ্রতিক্রিয়া ‘সংস্কৃতি’ পত্রিকায় প্রকাশের জন্য পাঠানো হয়। এটি গত বছরের জুন মাসের কথা। ছয় মাসেরও বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও পত্রিকাটি থেকে ওই পাঠপ্রতিক্রিয়া প্রকাশের ক্ষেত্রে ইতিবাচক বা নেতিবাচক অবস্থান জানানো হয়নি। একটি প্রগতিশীল পত্রিকার কাছ থেকে এমন আচরণ আশা করা যায় না। পরবর্তী সময়ে পত্রিকাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি খোঁজ নিয়ে জানান, সংস্কৃতি পত্রিকার নীতিনির্ধারকরা ভিন্নমত প্রকাশ করা এই পাঠপ্রতিক্রিয়াটি প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে লেখাটি ‘মঙ্গলধ্বনি’ পত্রিকার ওয়েবমাধ্যমে প্রকাশের জন্য পাঠানো হয়। (বিস্তারিত…)