লিখেছেন: সুমন কল্যাণ মৌলিক
প্রস্তাবনা
আজকের পৃথিবীতে আর্থিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চালচিত্রে ফ্যাসিবাদ বিষয়ক আলোচনা এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতর্কে পরিণত হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, বিংশ শতকে শুরু হওয়া থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ পর্যন্ত এক ঐতিহাসিক পর্ব শেষ করে নিঃশেষিত হয়ে যাওয়া ফ্যাসিবাদকে নিয়ে আবার এত আলোচনার কারণ কী! এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হলো বর্তমান সময়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র পরিচালনায়, রাষ্ট্র নীতিতে, সংবিধান মেনে তৈরি হওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ডে এমন কিছু চরিত্র লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে যার সঙ্গে ইউরোপে ত্রিশ–চল্লিশ দশকে গণতন্ত্রকে ব্যবহার করে যে ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়েছিল তার যথেষ্ট সাদৃশ্য আছে। আজ থেকে ঠিক একশ বছর আগে ইতালিতে ফ্যাসিবাদীরা ক্ষমতা দখল করেছিল। ১৯২২ সালে ইতালির রাজা ইমানুয়েল, বেনিতো মুসোলিনি ও তার সাথীদের রোম অভিযানের হুমকির সামনে মাথা ঝুঁকিয়ে ফ্যাসিবাদের ক্ষমতালাভকে সাফল্যমণ্ডিত করেছিল। আর আজ নির্বাচনের মাধ্যমে নয়া ফ্যাসিবাদের মতাদর্শের পতাকাকে উর্ধ্বে তুলে ধরে ইতালিতে ক্ষমতা দখল করল তিনটি চরম দক্ষিণপন্থী দলের জোট। এ যাত্রায় ক্ষমতার পালাবদল শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক ও নির্বাচনী রাজনীতির স্বাভাবিক পরিণাম। এই মুহূর্তে ইউরোপে শুধু নয়, বিভিন্ন দেশে উগ্র দক্ষিণপন্থী রাজনীতির যে বিকাশ ঘটছে তাতে ফ্যাসিবাদী মতাদর্শের চরিত্র লক্ষণ স্পষ্ট। এই পরিস্থিতিতে নয়া ফ্যাসিবাদের উদ্ভব, লক্ষণ, চরিত্র বিচার এবং ধ্রুপদী ফ্যাসিবাদের সঙ্গে তুলনা সংক্রান্ত চর্চা বাড়ছে। বর্তমান নিবন্ধটি সেই চলমান চর্চার অংশ হিসেবে রচিত। (বিস্তারিত…)