লিখেছেন : শাহেরীন আরাফাত
১৯১৭ সালের ৭ নভেম্বর (গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে) রাশিয়ায় যে ‘সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব’ সংঘটিত হয়েছিল, তাতে বিপ্লবী কমিউনিস্টরা নিশ্চয় দ্বিমত করবেন না। তবে বলশেভিক বিপ্লব নিয়ে কথা বলার সময় একটা বিষয় অনেকেই এড়িয়ে যান যে, এরপর ১৯২২ সাল পর্যন্ত এক রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ সেখানে চলমান ছিল, যেখানে প্রাণ হারিয়েছিলেন কয়েক লাখ মানুষ। এমন এক পরিস্থিতিতে বৈপ্লবিক সমাজতান্ত্রিক বিনির্মাণকাজ একরৈখিকভাবে চলমান ছিল না। আর এক পশ্চাৎপদ সমাজে এই বিনির্মাণ প্রক্রিয়ায় পশ্চাদপসরণও ওই বিপ্লবেরই অংশ। কিন্তু তা অনুধাবনে ব্যর্থ হয়ে কমিউনিস্ট বা বামপন্থী নামধারী কেউ কেউ এ বিপ্লবকে ‘বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লব’ বলে আখ্যায়িত করছেন। তারা সমাজতান্ত্রিক বিনির্মাণ প্রক্রিয়াকে এড়িয়ে এক কথিত ‘বিশুদ্ধ সমাজতন্ত্রের’ স্বপ্ন দেখছেন। সমাজতান্ত্রিক বিনির্মাণ প্রক্রিয়ায় যে ‘অ–সমাজতান্ত্রিক’ উপাদান বিদ্যমান ছিল, তারা সেটাকেই মুখ্য হিসেবে তুলে ধরে ‘বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লব’–এর তত্ত্ব ফেরি করছেন। আর তাই একটা নির্ধারিত বিষয় নিয়ে নতুন করে লেখার ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও, কেন আমরা বলশেভিক বিপ্লবকে ‘সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব’ বলছি, তা স্পষ্ট করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। বলশেভিক বিপ্লবের ঘটনাবলী, তৎকালীন সময়ে রাশিয়ার আর্থ–সামাজিক অবস্থা এবং বিপ্লব পরবর্তী পুনর্গঠনকালে পার্টি গৃহীত কার্যক্রমে আলোকপাত করার চেষ্টা থাকবে এ লেখায়। রাশিয়ার কমিউনিস্ট পার্টির গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচী থেকে আমরা কৃষি–প্রধান দেশে সমাজতন্ত্রের পথে প্রাথমিক পুনর্গঠন সম্পর্কে ধারণা পেতে সক্ষম হই। যা এই বিপ্লবের ধরণ সম্পর্কেও আমাদের সম্মক ধারণা প্রদান করে। আর এ ক্ষেত্রে কমরেড ভ্লাদিমির লেনিন ও বলশেভিক পার্টির বক্তব্যকেই মূল তথ্যসূত্র হিসেবে ধরা হয়েছে। (বিস্তারিত…)