প্রেস বিজ্ঞপ্তি
২৮ জুলাই, ২০১২
২৮ জুলাই শনিবার বিকাল ৩.৩০ মিনিটে ছবির হাট চারুকলা ইনষ্টিটিউটের বিপরীতে ‘গণমুক্তির গানের দল’–এর উদ্যোগে উদযাপিত হয়েছে মহান শিক্ষক কমরেড চারু মজুমদার’র ৪১তম শহীদ দিবস। এ উপলক্ষ্যে “জনগণের বলিষ্ঠ প্রতিরোধ শক্রর মনোবল চূর্ণ–বিচূর্ণ করে দিতে পারবে”, এই শ্লোগানের আলোকে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা ও গণ–সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন এ্যাডভোকেট যাহেদ করিম।
কমরেড চারু মজুমদার ভারতবর্ষ তথা দক্ষিণ এশিয়ায় আদর্শের উত্তরাধিকার হিসেবে মাওবাদকে সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গভাবে আত্মস্থ করেন, রক্ষা করেন এবং আন্তর্জাতিক শ্রমিকশ্রেণীর বৈজ্ঞানিক মতবাদ মার্কসবাদ–লেনিনবাদের সর্বোচ্চ বিকশিত রূপ হিসাবে মাওবাদকে প্রয়োগ করে আধাউপনিবেশিক–আধাসামন্ততান্ত্রিক ভারতবর্ষের কমিউনিস্ট পার্টির মানদণ্ড, রূপ–প্রকৃতি, কর্মসূচী নির্ধারণের দৃষ্টিভঙ্গী ও বিচারবোধের গুণগত পরিবর্তন সাধন করেন এবং দক্ষিণ এশিয়ায় সংশোধনবাদী নয়া সংশোধনবাদী কমিউনিস্ট পার্টি ও আন্দোলনের বিপরীতে নতুন মতাদর্শের উপযুক্ত নতুন ধরনের বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি ও আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেন।
সভায় বক্তরা বলেন, আমাদের দেশ একটি নয়াউপনিবেশিক দেশ। আমাদের সমাজের চরিত্র আধাউপনিবেশিক আধাসামন্ততান্ত্রিক এবং বিপ্লবের স্তর নয়াগণতান্ত্রিক। মার্কসবাদ–লেনিনবাদ–মাওবাদ ও চারু মজুমদারের শিক্ষাসম্মত সর্বহারা শ্রেণীর নেতৃত্বই শ্রমিক–কৃষকের মৈত্রীর উপর আধারিত এই বিপ্লব সম্পন্ন করতে পারেন। আসুন মহান শিক্ষক কমরেড চারু মজুমদারের ৪১ তম শহীদ দিবস পালন করার মধ্য দিয়ে গণমানুষের নয়াগণতান্ত্রিক গণমুক্তির লক্ষ্যে সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ, সামন্তবাদ ও আমলা মুৎসুদ্দী পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে বিপ্লবী গণসাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলি।
আলোচনা সভায় অংগ্রহণ করেন * এডভোকেট যাহেদ করিম (সভাপতি) * কমরেড হাসান ফকরী * আশিষ কোড়ায়া (সাধারণ সম্পাদক, গণমুক্তির গানের দল) * আফরোজা (সদস্য, ল্যম্পপোষ্ট) * মিথুন চাকমা (সংগঠক, ইউ পি ডি এফ) * তমিজ উদ্দীন (সদস্য, নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা) * শামসুজ্জামান মিলন, প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ * ম. নূরুন্নবী, বামবুদ্ধিজীবী |
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে * সমগীত * গণমুক্তির গানের দল * মুক্তির মঞ্চ |
বিপ্লবী শুভেচ্ছান্তে,
আফরোজা খাতুন
সদস্য
গণমুক্তির গানের দল