লিখেছেন: গোলাম কিবরিয়া পিনু
কবি মতিন বৈরাগীর জন্ম ১৬ নভেম্বর ১৯৪৬। এবছরের ১৬ নভেম্বর তাঁর ৭০তম জন্মদিন। তাঁর জন্মদিনের সময় পড়ছিলাম তাঁরই ‘কবিতা সমগ্র’ গ্রন্থটি। এই গ্রন্থে ১০টি কাব্যগ্রন্থের কবিতা আছে, অনেক কবিতা একসঙ্গে পড়ে একজন কবির পরিচয় ভালোভাবে পাওয়া যায় একজন পাঠক হিসেবে। এই গ্রন্থটি বের হয় ২০০৮ সালে, তারপর আরও দু’টি কাব্যগ্রন্থ বের হয়েছে তাঁর। তাঁর কবিতা সম্পর্কে এক ধরনের বিবেচনা আমার আগে থেকেই ছিল, তাঁর কবিতা পড়ছি বহুদিন হলো ধারাবাহিকভাবে। কিন্তু একসঙ্গে অনেক কবিতা পড়তে পড়তে মনে হয়েছে, আমার যে বিবেচনা স্থির হয়েছিল – তাঁর কবিতা সম্পর্কে, সেই বিবেচনায় আরও কিছু বোধ পাঠক হিসেবে সম্পকির্ত হলো নতুনভাবে।
তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকেছেন, কিন্তু তিনি শেষ পর্যন্ত মূলভাবে সক্রিয় থেকেছেন এই ৭০ বছর অবধি একমাত্র কবিতায়। তাঁর কবিতাগ্রন্থগুলো হলো : বিষণ্ন প্রহরে দ্বিধাহীন (১৯৭৭), কাছের মানুষ পাশের বাড়ি (১৯৮০), খরায় পীড়িত স্বদেশ (১৯৮৬), আশা অনন্ত হে (১৯৯২), বেদনার বনভূমি (১৯৯৪), অন্তিমের আনন্দ ধ্বনি (১৯৯৮), অন্ধকারে চন্দ্রালোকে (২০০০), দূর অরণ্যের ডাক শুনেছি (২০০৫), স্বপ্ন এবং স্বাধীনতার গল্প (২০০৭) এবং অন্য রকম অনেক কিছু (২০০৮)। এই ৮টি কাব্যগ্রন্থ নিয়ে তাঁর ‘কবিতা সমগ্র’ গ্রন্থটি। এর পরবর্তী সময়ে আরও দু’টি কাব্যগ্রন্থ বের হয়েছে, খণ্ডে খণ্ডে ভেঙে গেছি (২০১২) এবং দুঃখ জোয়ারের স্রোতে (২০১৪)। (বিস্তারিত…)