লিখেছেন: বন্ধুবাংলা
নিঃসন্দেহে শ্রমিক কর্মচারীদের ঐক্য পরিষদের বানারে স্কপ’ ছিল স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম শক্তি। বিভিন্ন ইস্যুতে স্কপে ও বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নে বামপন্থীরা নীতি নির্ধারকের ভূমিকায় ছিল। কিন্তু তাঁদের আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলে পর্যায়ক্রমে ভোগ করেছিল বুর্জোয়া রাজনৈতিক শক্তির দলগুলো। লীগ ও বিএনপি, জামাত এমনকি স্বৈরাচার এরশাদও আছে এই ভোগের তালিকায়। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের পর এভাবেই বামপন্থীরা বুর্জোয়া রাজনৈতিক শক্তির ক্ষমতায়ণ , এবং তাঁদের ক্ষমতা সুসংহত ও সুসঙ্গত করতে ব্যবহৃত হয়েছিল এবং এখনো হচ্ছে। এক্ষেত্রে তাঁদের অর্জন যেমন শূন্য, তেমনি শ্রমিকদের অর্জনও শূন্য।
৯০ এর পর বামপন্থীরা আর কোন শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। যদিও স্বৈরাচারের ঢালাও বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া ক্ষমতাসীন বুর্জোয়া রাজনৈতিক শক্তিগুলো আরও পূর্ণমাত্রায় চালু রেখেছিল। মিল কারখানা বন্ধ করে পানির দামে বিক্রি করা হলো। ঢালাও বেসরকারিকরণ এজেন্ডার সাথে বরাবরেরে মত অন্যান্য এজেন্ডা যেমন, শ্রম আইনের সংস্কার, বিভিন্ন খাতের শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি, গার্মেন্টসে ট্রেড ইউনিয়ন চালু সহ নানা এজেন্ডা ছিল এবং কিছু এদিক–ওদিক বাদে এখনো সেই এজেন্ডা সমূহের বাস্তব অবস্থা বিরাজমান। (বিস্তারিত…)