লিখেছেন: আল–বিরুনী প্রমিথ
বাপ–দাদার আমলে, নিজের ছোটবেলায় ভালো ছেলের সংজ্ঞা ছিলো : তারা সিগারেট, মদ, বিড়ি কিছু খায়না, বাবা–মা, মাস্টারমশাই, গুরুজনদের কথা মান্য করে চলে, কোনকিছুর প্রতিবাদ করেনা, কখনো ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াবার কথা ভাবেনা। এখন তা কিছুটা বদলে হয়েছে অনেকটা এমন : তারা কখনো দু’দন্ড বসে কিছু চিন্তা করেনা, কোন কিছুতেই প্রশ্ন করেনা, বনের মোষ তাড়ানো তো দূরের কথা ঘরে মোষ ঢুকলেও তাড়ায়না, বিনা বাক্যব্যয়ে বুদ্ধিবৃত্তির খাসীকরণ গ্রহণ করে, একপাল শুয়োরের সাথে নরককূন্ডে বসবাস, সহাবস্থানে দ্ব্যর্থহীনভাবে তাকে শুয়োরের খোয়াড় না বলে কাঁপা কাঁপা গলায় আবেগগ্রস্ত কবির ভাষায় বলে, ‘আমি এই দেশকে নিয়ে অনেক গর্বিত’, ‘আমি অনেক আশাবাদী আমার সুজলা–সুফলা দেশকে নিয়ে’, ‘এই দেশ একদিন সারা বিশ্বে মাথা তুলে দাঁড়াবেই’… ব্লা ব্লা ব্লা। বলাই বাহুল্য এসব কথা কর্পোরেট দস্যুদের শিখিয়ে পড়িয়ে নেওয়া কিছু প্রলাপ বিশেষ ব্যতীত আর কিছু নয়। নাহলে যখনই সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিত মূর্খ বাঙ্গালী মধ্যবিত্ত ফুটবলের বাংলা করেছে– ‘চর্মনির্মিত গোলাকার বস্তুবিশেষ যা পদাঘাতে স্থানান্তরিত হয়’, তখনই তার জাতি গঠনের পথ পিছিয়েছে সহস্রাব্দী বছর। আমাদের ভাবনা–চিন্তার আভিজাত্যে এর ফলে যতই ঘা লাগুক না কেন বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে এ এক তর্কাতীত সত্য। (বিস্তারিত…)