লিখেছেন: আহমদ জসিম
গত দুইদিন ধরে ঢাকার আশুলিয়ায় আবার শুরু হয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক বিদ্রোহ। এবারও বিদ্রোহের কারণ বকেয়া বেতন ও মজুরি বৃদ্ধি। বরাবরের মতো শ্রমিক পক্ষ এবং মালিক পক্ষ থেকে আসছে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য। যদিও এখানে শ্রমিকের কণ্ঠস্বর অতিক্ষীণ, কারণ শ্রমিকের কথা ব্যথা–যন্ত্রনা তুলে ধরার মতো কোন মিডিয়া নেই। অপরপক্ষে সমস্ত বুর্জোয়া মিডিয়াই আদপে মালিকের স্বার্থের পাহারাদার। এই বুর্জোয়া মিডিয়াই শ্রম শোষণকারী মালিক পক্ষের বক্তব্য, শ্রমিক বিদ্রোহকে তৃতীয় পক্ষের উসকানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রয়াসী হয়েছে। এই পর্যন্ত যতবারই শ্রমিক তাদের ন্যায্য দাবিদাওয়া নিয়ে মাঠে নেমেছে মালিক, সরকার আর তাদের স্বার্থের পাহারাদার বুর্জোয়া মিডিয়া একই সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে প্রচার চালিয়েছে, তৃতীয় পক্ষের উসকানি হিসেবে।
যে কোন আন্দোলন–সংগ্রামেই অংশ গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যক্তি একধরণের উসকানি বোধ করে। এই উসকানিই ব্যক্তিকে আদর্শের বলে বলিয়ান করে। উদাহরণ হিসেবে আমরা বলতে পারি, শহীদ নুর হোসেনের নাম, স্বৈরশাসক জেনারেল এরশাদের একনায়ক শাসনই এই মহান মানুষটাকে সংগ্রামে নামতে বাধ্য করেছিল। যে সংগ্রাম তাঁর কাছে ছিল জীবনের থেকেও বেশি কিছু। যে কারণে মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও নুর হোসেন বুকে–পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাক যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লিখে রাজপথে নেমেছিলেন। (বিস্তারিত…)