লিখেছেন: বন্ধু বাংলা
এ লেখার শুরুতে আমাকে যে বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে তা হল কি লেখা উচিৎ আর কি লেখা উচিৎ নয়! কি বলা উচিৎ আর কি বলা উচিৎ নয়। কবিতার সেই পঙক্তির মত– “ধরা যায় না, ছোঁয়া যায় না, বলা যায় না কথা, রক্ত দিয়ে পেলাম শালার এ কোন স্বাধীনতা”। কলাপ্সিবল দরজায় তালা ঝুলিয়ে বন্ধ ঘরে আকাশ সংস্কৃতিতে ভাসছি আর ভাবছি বড্ড স্বাধীন। খাচ্ছি, ধাচ্ছি, ঘুমোচ্ছি, রমণী রমণে রাত পার করে এই যে মূক ও বধীর জীবনযাপন করছি, হয়তো এটাই সুস্থতা কিংবা হয়তো চরম অসুস্থতা।
তবুও কোথায় কিসের যেন এক তাড়না অনুভবে এ লেখা লিখছি। এবার যে কথার অবতারণায় এত কথা বললাম সে প্রসঙ্গে আসি। ক্রসফায়ার, হত্যা, খুন, গুম, লুটপাট, চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ, দুর্ঘটনা, প্রতারণা প্রভৃতি আইন–শৃঙ্খলার স্বাভাবিক উন্নতি–অবনতির সূচক। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্রসফায়ার, হত্যা, খুন, গুম এখন যেন আমাদের সংস্কৃতির অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। আমরা এমন এক অভাগা জাতি যে, এই জাতীয় ক্রসফায়ার, হত্যা, খুন, গুমের ঘটনাকে আমরা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা রূপে দেখার অভ্যস্ততায় একসময় নিজেই হয়ত এর শিকারে পরিণত হচ্ছি। কেউ খুন, গুম করে খুন বা গুম হয়, আবার কেউ কিছু না করেও খুন, গুম হয়। অনেক সময় খুনি/গুমকারী লাভ করে সামাজিক–রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা। হত্যা মামলা না থাকলে জননেতা হওয়া যায় না। রাজনৈতিক কারণে হত্যা ও ক্ষমতায় থাকলে হত্যা মামলা প্রত্যাহার, ফাঁসির দণ্ড মওকুফ কিসের নির্দেশক? আমাদের বসবাস কি খুনে সংস্কৃতির মাঝে? এটা কি একটা জাতির জাতীয় মনোবৈকল্য?
রাজনৈতিক কারণে ক্রসফায়ার, হত্যা, গুমের ইতিহাস কি? শুরু,সমাপ্তি, কারণ ও এর সমাধান কি? যে কোন সচেতন মানুষকেই তা ভাবিয়ে তুলতে বাধ্য। (বিস্তারিত…)