লিখেছেন: অজয় রায়
বিশ্ববিখ্যাত রুশ কথাশিল্পী ম্যাক্সিম গোর্কির প্রকৃত নাম আলেক্সেই ম্যাক্সিমোভিচ পেশকভ। তাঁর জন্ম ১৮৬৮ সালের ১৬ মার্চ রাশিয়ার নিঝনি নোভোগোরোদ শহরে।[১] শৈশবে তিনি অনাথ হয়ে যান। দারিদ্র্যের তাড়নায় আট বছর বয়সেই রুটিরুজির জন্য বেরিয়ে পড়তে হয় আলেক্সেইকে। শ্রমিক হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেন। ভোলগা নদীর স্টিমারের কেবিন বয় থাকাকালে স্টিমারের রাঁধুনির কাছে পড়তে শেখেন তিনি।
আলেক্সেইয়ের দিদিমা তাঁকে বিভিন্ন রূপকথা, লোককথা ও লোকসংগীত শোনাতেন। যা থেকেই সাহিত্য সম্পর্কে প্রথম আগ্রহ জন্মায় তাঁর। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাবঞ্চিত এ মানুষটির ছিল অদম্য জ্ঞানপিপাসা। পৃথিবীর পাঠশালাতেই তিনি হয়ে ওঠেন স্বশিক্ষিত। উনিশ বছর বয়সে অবশ্য আত্মহত্যা করারও চেষ্টা করেছিলেন।
কাজানে থাকাকালে আলেক্সেই বিপ্লবীদের সংস্পর্শে আসেন। মার্কসবাদের দিকে ঝোঁকেন ‘সেমিওনভের রুটি কারখানায় পাঠ নেওয়ার মাধ্যমে’। তিনি গ্রেপ্তারও হন। আর পায়ে হেঁটে রাশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ান। তিফলিস–এর ‘কাভ্কাজ্’ (‘ককেশাস’) সংবাদপত্রে ১৮৯২ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম লেখা ছোটগল্প ‘মাকার চুদরা’।[২] জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার স্মরণে তিনি ছদ্মনাম নেন ম্যাক্সিম গোর্কি, যার অর্থ তিক্ত ম্যাক্সিম। এর তিন বছর পর ‘চেল্কাশ’ গল্প প্রকাশিত হয়।
গোর্কি সাংবাদিকতা ও সাহিত্যকেই পেশা হিসাবে বেছে নেন। উনিশ শতকের শেষের দিকে, যখন রাশিয়ায় আধুনিক শিল্পক্ষেত্রে সর্বহারাশ্রেণীর আবির্ভাব ঘটে, তখন গোর্কি বেশকিছু গল্প লিখেছিলেন, যা শ্রমিকশ্রেণীর মধ্যে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে। সেই সময় রাশিয়ায় চলছিল পরিবর্তন পর্ব। রাজতান্ত্রিক সরকারের স্বৈরশাসন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে জনবিক্ষোভও ক্রমেই বাড়ছিল।
১৯০১ সালে ‘ঝিজন’ (‘জীবন’) পত্রিকায় প্রকাশিত হয় তাঁর কাব্যধর্মী রচনা ‘ঝড়ো পাখির গান’। যা ছিল বিপ্লবের আবাহনী সঙ্গীত। ঝড়ঝঞ্ঝা, বজ্র–বিদ্যুতের মধ্যেই নির্ভীক পাখিটি বহন করে আনে আনন্দের, বিপ্লবের বার্তা:
“এখুনি ঝড় উঠবে। ঝড় উঠতে দেরি নেই।
তবু সেই দুঃসাহসী ঝড়ো পাখি বিদ্যুতের ভিড়ে,
গর্জমান উত্তাল
সমুদ্রের ওপর দিয়ে দীপ্ত পাখসাটে উড়ে চলে।
তার চিত্কারে
পুলকিত প্রতিধ্বনি ওঠে,
চূড়ান্ত জয়ের ভবিষ্যদ্বাণীর মতো
সমস্ত ভীষণতা নিয়ে ভেঙে পড়ুক,
ঝড় ভেঙে পড়ুক।”
(ম্যাক্সিম গোর্কি, ‘ঝড়ো পাখির গান’, ১৯০১) [৩]
এই সময়ে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ হয় গোর্কির। তিনি বলশেভিকদের পত্রিকা প্রকাশে সহায়তা করেন। বহু অর্থ সাহায্যও দেন। লেনিনের সাথে তাঁর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। তিনি একাধিক বার কারারুদ্ধ হন। তাঁকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়। গোর্কি তাঁর বিশ্ববিখ্যাত উপন্যাস ‘মা’ (১৯০৬) এবং ‘দুশমন’ নাটক লেখেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালে। ‘মা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি উপন্যাস, যা বিপ্লবী শ্রমিক আন্দোলনের পটভূমিকায় রচিত। বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসে আর কোনও উপন্যাসই এত কোটি কোটি মানুষের জীবনে এমন প্রবল প্রভাব ফেলতে পারেনি।
বিশ শতকের গোড়ায় ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক– সাহিত্যের তিনটি ক্ষেত্রেই গোর্কি প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। গোর্কির প্রথম লেখা প্রকাশের সময় থেকে পরবর্তী দেড় দশককে তাঁর সাহিত্যিক জীবনের প্রথম পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত করা যায়। এই পর্যায়ে তাঁর যে সব রচনা প্রকাশিত হয়েছে তার মধ্যে ‘চেল্কাশ’, ‘একদিন যারা মানুষ ছিল’, ‘ছাব্বিশজন পুরুষ ও একটি মেয়ে’, ‘ফোমাগরদেয়েভ’, ‘নিচের মহল’, ‘মা’ ও ‘দুশমন’ সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। ‘নিচের মহল’ নাটকে যেমন আঁকা হয়েছে একটি রূপক ছবি– ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থার অমানবিকতার ছবি। তবে মানুষ যে অবস্থায় জীবন যাপন করছে, সে সম্পর্কে তিক্ত মনোভাব পোষণ করলেও, গোর্কি তাঁর এই প্রত্যয়ে সর্বদা আশাবাদী ছিলেন যে, জনসাধারণ এপরিস্থিতির কাছে আত্মসমর্পণ করবেন না। স্পষ্টতই, গোর্কি অপরের মানসালোক কিভাবে জাগিয়ে তুলতে হয় সেটা দেখিয়েছেন। তাঁর নবযুগের রুপকথার কাহিনী ‘বুড়ি ইজেরগিল’–এ অন্তর্ভুক্ত ‘দাংকোর হৃৎপিণ্ড’–তে নায়ক যেমন নিজের হৃৎপিণ্ডে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে সেই আলোয় মানুষের মুক্তির পথ দেখিয়েছেন।
গোর্কি পরবর্তীকালে ইতালির ক্যাপ্রিতে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। ১৯১৩ সালে তিনি স্বদেশে ফেরেন। আর বিপ্লবী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। নভেম্বর বিপ্লব–পূর্ববর্তী দশকটিকে গোর্কির সাহিত্যসাধনার দ্বিতীয় পর্যায় হিসাবে চিহ্নিত করা যায়। যে সময়ে প্রকাশিত গ্রন্থগুলির মধ্যে ‘এক অনাবশ্যক মানুষের কাহিনী’, ‘ভাসা ঝেলেজ্বনোভা’, ‘ম্যাতভিয়েকোঝেমিয়াকিনের জীবন’, ‘আমার ছেলেবেলা’ ও ‘পৃথিবীর পথে’ উল্লেখযোগ্য।
নভেম্বর বিপ্লবের পরবর্তী সময়ে প্রতিবিপ্লবী শক্তির বিরুদ্ধে যে গৃহযুদ্ধ আরম্ভ হয় তার নির্মমতায় গোর্কি বিচলিত হন। লেনিন অবশ্য বিভিন্ন সময়ে তাঁর ভুল চিন্তাকে দূর করেন। আর গোর্কি ফের অসুস্থ হয়ে লেনিনের পরামর্শে ১৯২১ সালে ইতালিতে গিয়ে বসবাস শুরু করেন।
এ সময়ে লেখা শেষ হয় গোর্কির বিশ্ববিখ্যাত আত্মজৈবনিক উপন্যাসত্রয়ী অর্থাৎ ‘আমার ছেলেবেলা’ (১৯১৩–১৪), ‘পৃথিবীর পথে’ (১৯১৫–১৬) এবং ‘পৃথিবীর পাঠশালায়’ (১৯২৩), যা উনিশ শতকের শেষার্ধের অবক্ষয়ী রাশিয়ার সমাজদর্পণ। গোর্কির জীবনের শেষ দুই দশককে তাঁর সাহিত্যসাধনার তৃতীয় পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত করা যায়। এই পর্যায়ে তাঁর যে সব রচনা প্রকাশিত হয়েছে তার মধ্যে ‘তলস্তয়ের স্মৃতি’, ‘ভিজি করলেঙ্কো’, ‘পৃথিবীর পাঠশালায়’, ‘আর্তামোনভ বৃত্তান্ত’, ‘য়েগর বুলিচ্যেভ ও অন্যেরা’ এবং ‘ক্লিম সামগিনের জীবন’ উল্লেখযোগ্য।
গোর্কি বিদেশে থেকেও রাশিয়ার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন। অন্যান্য লেখকদের উৎসাহ দেন। স্পষ্টতই তিনি ছিলেন একাধারে সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতাদের সমালোচক ও সমর্থক। ১৯২৮ সাল থেকে আরম্ভ করে প্রায় প্রতি বছরই কিছু সময়ের জন্য রাশিয়া ঘুরে যেতেন। ১৯৩৩ সালে তিনি পাকাপাকিভাবে দেশে ফেরেন।
গোর্কি বহু সাংস্কৃতিক প্রকল্পের সূচনা করেন। দেশের সাহিত্য ও রাজনীতির ক্ষেত্রে গঠনমূলক কাজের মাধ্যমে তিনি সাংস্কৃতিক রূপান্তর ঘটানোর লাগাতার প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। আর সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নতুন মানুষ গড়ে তোলায় জোর দেন। শান্তি, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের প্রচার কাজে যুক্ত থাকেন। ১৯৩৬ সালে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে রাশিয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোর্কি মারা যান। প্রতিবিপ্লবীরা ষড়যন্ত্র করে তাঁকে হত্যা করেছে বলেও অভিযোগ তোলে। যার ভিত্তিতে তৎকালীন সোভিয়েত সরকার কয়েকজন নেতা–কর্মীকে শাস্তি দেয়।
যেটা লক্ষণীয়, গোর্কি তাঁর সাহিত্যসৃষ্টি দিয়ে শুধু সমাজের বাস্তব অবস্থাকে দেখাতে চাননি, চেয়েছেন শোষিত, বঞ্চিত, লাঞ্ছিত মানুষের অধিকার বোধ জাগিয়ে তুলতে। আর সরল মানবিকতা থেকে তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন বিপ্লবী শ্রেণী–মানবিকতায়। যা শ্রমিকশ্রেণীর মানবতাবাদ। ‘বাস্তবতা প্রসঙ্গে’ রচনায় গোর্কি যেমন আশা করেছেন, লেখকরা হবেন ‘শ্রমিকশ্রেণীর কান এবং কন্ঠস্বর’; যা শ্রেণীটির ‘মেজাজ, আশা–আকাঙ্খা, উদ্বেগ, আবেগ, স্বার্থ, ভুলভ্রান্তি ও পছন্দর’ প্রতিফলনে তাঁদেরকে সক্ষম করবে।
সোভিয়েত সাহিত্য নামে পরিচিত বহুজাতি–ভিত্তিক সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নতুন সাহিত্যেরও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা গোর্কি। তাঁর নাম নিয়ে একটি নতুন শিল্পধারা প্রবর্তিত হয়েছিল, যার নাম সমাজবাদী বাস্তববাদ। ১৯৩৪ সালে প্রথম সোভিয়েত লেখক সম্মেলন থেকে পোশাকিভাবে তার সূচনা হয়। বিংশ শতাব্দীর গোড়ায়, ম্যাক্সিম গোর্কি’র ‘মা’ উপন্যাস এবং ‘দুশমন’ নাটকের মতো কিছু সাহিত্যসৃষ্টি– এগুলো থেকে সমাজবাদী বাস্তববাদের সূত্রপাত ধরা হয়। বিশ্বের ইতিহাসে সেই প্রথম শ্রমিকশ্রেণী তার নিজের গলায় কথা বলতে আরম্ভ করে, আর তারই সূত্রে সমাজবাদী বাস্তববাদের জন্ম– এমনটাই দাবি করা হয়।
তবে সমাজবাদী বাস্তববাদের সংকীর্ণ ব্যাখ্যা দেওয়া এবং তা সর্বক্ষেত্রে যান্ত্রিকভাবে চাপানোর আমলাতান্ত্রিক প্রবণতা দেখা দেয় কোনো কোনো মহলে। মতান্ধতার এ কানাগলিতে না ঢুকেও অবশ্য এ শিল্পধারা অনুসরণ করে চলেন শিল্পী–সাহিত্যিকদের একাংশ। যারা মনে করেন, সমাজবাদী বাস্তববাদের ধারা দ্বান্দ্বিক। যা ব্যক্তি, সমাজ ও প্রকৃতির রূপান্তরে নজর দেয় বলেই বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি। মেহনতি মানুষের দুঃখ–দুর্দশা এবং সেইসঙ্গে সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্যাভিমুখী তাঁদের ধারাবাহিক সংগ্রাম প্রতিফলিত হয়েছে এধরনের সাহিত্য ও শিল্প কর্মে।
দেশে দেশে সর্বহারার সাহিত্য ও শিল্পের বিকাশ ঘটানোর লাগাতার প্রচেষ্টা চলেছে। বিভিন্ন সময়ে এসংক্রান্ত নানান সমস্যাও সামনে এসেছে। এ ব্যাপারে মাও সে–তুঙ যেমন বলেছেন, “শত ফুল বিকশিত হোক, শত চিন্তাধারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক– এই নীতি হচ্ছে শিল্পকলার বিকাশ ও বিজ্ঞানের প্রগতির প্রেরণাদানের নীতি এবং আমাদের দেশের সমাজতান্ত্রিক সংস্কৃতির সমৃদ্ধি সাধনে উৎসাহদানের নীতি। শিল্পকলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রূপ ও শৈলী স্বাধীনভাবে বিকাশ লাভ করা উচিত এবং বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মতধারা অবাধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত। আমরা মনে করি, একটা বিশেষ শিল্পশৈলী অথবা চিন্তাধারা চাপিয়ে দেওয়ার এবং অন্য শৈলী বা মতধরা নিষিদ্ধ করার জন্য যদি প্রশাসনিক ব্যবস্থা অবলম্বন করা হয়, তাহলে শিল্পকলা ও বিজ্ঞানের বিকাশের পক্ষে তা ক্ষতিকর হবে। শিল্পকলা ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কোনটা ঠিক বা কোনটা বেঠিক– এই প্রশ্নের নিষ্পত্তি করতে হবে শিল্পী ও বৈজ্ঞানিক মহলে মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে এবং শিল্পকলা ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বাস্তব কাজের মাধ্যমে। সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে তা স্থির করা উচিত নয়।” (মাও সে–তুঙ, ‘জনগণের মধ্যেকার দ্বন্দ্বের সঠিক মীমাংসা প্রসঙ্গে’, ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭)।[৪]
১৯৪২ সালে ইয়েনান ফোরামে সাহিত্য ও শিল্পকলা সম্পর্কে ভাষণ দিতে গিয়ে মাও সে–তুঙ বলেন, “বিভিন্ন দেশের ভালো অভিজ্ঞতা এবং বিশেষত সোভিয়েতের অভিজ্ঞতাও আমাদের পথ দেখাতে পারে। আমাদের ক্ষেত্রে এর ফলে মানোন্নয়ন হয় জনপ্রিয়করণের উপর ভিত্তি করে, যখন জনপ্রিয়করণ ঘটে মানোন্নয়নের নির্দেশিত পথে।” [৫]
দেশে দেশে এখনও প্রগতিশীল ও বিপ্লবী শিল্প–সাহিত্য চর্চা জারি রয়েছে। তবে উদারবাদী বিশ্বায়নের প্রেক্ষিতে সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসন বাড়ছে। যখন ভোগবাদী বুর্জোয়া সংস্কৃতির মোকাবিলায় এক ‘নতুন, সর্বজনীন, মানবিক, সমাজতান্ত্রিক সংস্কৃতি’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে লড়াই চলছে। যাতে সামিল শিল্পী–সাহিত্যিক–কলমসৈনিকদেরকে সোভিয়েত শিল্প–সাহিত্যের অভিজ্ঞতাও পথ দেখাচ্ছে। তাঁরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছেন সোভিয়েত সাহিত্যধারার জনক গোর্কিকে। আর প্রেরণা পাচ্ছেন তাঁর সামষ্টিক আদর্শ ও শ্রেণীসচেতন বাস্তববাদ থেকে। এর মধ্যেই বিশ্বের নানা প্রান্তে ম্যাক্সিম গোর্কির ১৫০তম জন্মবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। আর দেখা যাচ্ছে, বিপ্লবের ‘ঝড়ের পাখি’ হিসেবে স্বদেশে–বিদেশে আজও সমাদৃত, আজও প্রাসঙ্গিক ম্যাক্সিম গোর্কি।।
৩০/১০/২০১৮
তথ্যসূত্র:
[1] Ronald Francis Hingley, “Maxim Gorky RUSSIAN WRITER”, Encyclopædia Bitannica
[2] Ibid